একুশে ফেব্রুয়ারি উনিশশো আটানব্বই। উত্তরপ্রদেশে কল্যাণ সিং সরকারের পতন ঘটিয়ে সরকার গড়ে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল জগদম্বিকা পালকে। তার পরের দিনেই এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায় বিজেপি। জগদম্বিকা পালের রাজ্যপাটকে বেআইনি বলে রায় দেয় আদালত। ভারতীয় গণতন্ত্রে এখনও পর্যন্ত এটাই ক্ষুদ্রতম শাসনকাল।
তবে কেন্দ্রীয় স্তরে এই পরম্পরা শুরু আরও দু’দশক আগে। জরুরি অবস্থার পর প্রথম নির্বাচনে জয় পেয়েছিল জনতা পার্টি। উনিশশো উনআশি সালে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন চৌধুরি চরণ সিং। তাঁর রাজত্বের বয়স ছিল মাত্র সাত মাস।
advertisement
কংগ্রেস জমানার অবসানেই তৈরি হয়েছিল বিশ্বপ্রতাপ সিংয়ের জনতা দলের সরকার। সেটা উনিশশো উননব্বই সালের দোসরা ডিসেম্বর। এগারো মাসের মধ্যেই শেষ ভিপি সিংয়ের নেতৃত্বে জোট সরকার। হাল ধরলেন চন্দ্রশেখর। তাঁর সরকারের স্থায়িত্ব মাত্র সাত মাস।
পি ভি নরসিমা রাও সরকারের পতনে দেশে বিজেপির উত্থান। ভারতে প্রথম বিজেপির নেতৃত্বে জোট সরকার। মুখ অটলবিহারী বাজপেয়ী। দিনটা ষোলোই মে উনিশশো ছিয়ানব্বই। মাত্র তেরো দিনেই শেষ বাজপেয়ীর প্রথম ইনিংস। এরপর এইচডি দেবগৌড়া এবং ইন্দ্রকুমার গুজরাল মিলে একুশ মাসের সরকার চালান।
নয়ের দশকের শেষেও টালমাটাল কেন্দ্রীয় রাজনীতি। ফের দিল্লির তখতে অটলবিহারী বাজপেয়ী। এবার তেরো মাসের জন্য। এই সরণিতেই এক হয়ে গেলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কর্নাটকে তাঁর সরকারের ইতি হল মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টায়।