তিনি তাঁর বিস্তারিত অভিযোগে দাবি করেছেন, শেষ এক বছর ধরে প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বাড়িতে বিভিন্ন সময় প্রায় ২০ জন মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ পোর্টব্লেয়ারের সেই বাড়িতেই নাকি চলত অত্যাচার৷ আর এদের মধ্যে কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ যৌনতার পরবর্তী এই চাকরি দেওয়ার কাজ করা হল বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ ‘চাকরির জন্য যৌনতা’ চক্র চালাতেন ওই প্রাক্তন মুখ্যসচিব, অভিযোগ তেমনই৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বিমান তখন ফুল স্পিডে, হঠাৎই দেখা গেল আগুনের শিখা...’’ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন ইন্ডিগোর যাত্রী
আরও পড়ুন: রাঁচিতে হাড় হিম করা ঘটনা, ১৩ বছরের ভাইকে গুলি করে হত্যা দাদার
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আন্দামান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘অভিযোগ জমা পড়েছে৷ অভিযোগের বিস্তারিত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাখা কমিটিতে৷’’ আন্দামান প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা নাম না করে জানিয়েছেন, ‘‘কয়েকদির আগে প্রাক্তন মুখ্যসচিবের নামে একটি গণধর্ষণের অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়ে৷ ওই মহিলার অভিযোগ বিস্তারিত ভাবে শোনা হয়েছে এবং তাঁর সমস্ত অভিযোগের বিষয় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কমিটির কাছে৷’’
প্রশাসনের শীর্ষকর্তা আরও জানিয়েছেন, ‘‘ওই মহিলা একটি সরকারি চুক্তিভিত্তিক চাকরি করতেন, যখন জিতেন্দ্র নারায়ণ মুখ্যসচিব ছিলেন৷ তাঁর অভিযোগ, সেই সময়ে একাধিক নানারকম যৌনগন্ধী ইঙ্গিত তাঁকে করা হত৷ পাশাপাশি, তাঁর বাকি অভিযোগগুলি ছিলই৷’’ আপাতত এই সমস্ত অভিযোগের বিস্তারিত নির্দিষ্ট কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে, তবে এখনও পর্যন্ত ‘ক্রিমিনালিটি’ কিছু ধরা পড়েছে৷
কমিটির সিদ্ধান্তের পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা বিষয়টি দেখা হবে৷’’ ইতিমধ্যে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা এসআইটি তৈরি করা হয়েছে, যেটির তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যে নারায়ণকে ডেকে পাঠানো হয়েছে৷ তবে এই যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে তাঁর সঙ্গে ফোন মারফত যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি ফোন তোলেননি ও মেসেজেরও কোনও উত্তর দেননি৷