সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে এবার কড়া কমিশন। চলতি সপ্তাহেই কলকাতায় এসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেখানে কর্তব্য পালনে গাফিলতির অভিযোগে কমিশনের তোপের মুখে পড়েন বেশ কয়েকটি জেলার এসপি ও জেলাশাসকরা। মঙ্গলবারের বৈঠকেই ইঙ্গিতটা দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসিম জৈদী ৷ তাঁর ইঙ্গিত মতোই দু’দিনের মাথায় বদলি করা হল আইপিএস, আইএএস সহ একঝাঁক সরকারি আধিকারিককে। আইপিএস, আইএএস থেকে রয়েছেন ওসি পদমর্যাদার আধিকারিকদেরও নাম রয়েছে বদলির তালিকায় ।
advertisement
মালদার এসপি ওয়াকার রেজার জায়গায় এলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দঃ দিনাজপুরের এসপি রশিদ মুনির খানের বদলে এলেন অর্ণব ঘোষ ৷ সিসারাম ঝাঝারিয়া এলেন নদিয়ার এসপি ভাস্কর চট্টোপাধ্যায় ৷ বর্ধমানের এসপি গৌরব শর্মার বদলির পর তাঁর স্থানে আসছেন কুণাল আগরওয়াল ৷ কমিশনের নির্দেশে সরতে হয়েছে ৩ আইএএস অফিসারকেও। পক্ষপাত দুষ্টতার অভিযোগে হুগলির জেলাশাসক সঞ্জয় বনসলকে বদলির চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন ৷ উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগেও বদলি হন তিনি ৷ কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণের জেলা নির্বাচন অফিসার (ডিইও)কেও বদলি করা হয়েছে ৷ এছাড়াও অন্য কয়েকটি পদ থেকে বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মীকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। মালদার এসডিও নন্দিনী সরস্বতী ও কান্দি-বনগাঁর এসডিপিও-য়ের উপরেও নেমেছে বদলির খাঁড়া ৷ কমিশনের বদলির নির্দেশে নজিরবিহীনভাবে প্রশাসনের উঁচু থেকে নিচু তলায় ঘটেছে রদবদল ৷