ভাঙা বেড়ার অস্থায়ী ঝুপড়ি। ঝড়-জলের দিনগুলোয় তাড়া করে আতঙ্ক। যখন তখন দুর্ঘটনার ভয়। ঠিক এভাবেই প্রতিদিন বাঁচার লড়াই। অভাবে-অভিযোগে দিন কাটছিল হুগলির তারকেশ্বরের বৈদ্যপুরের ঝুপড়ির মানুষদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক নির্দেশেই অবশ্য দুঃখ ভুলেছেন তাঁরা। দু'পা হাঁটলেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে নিজেদের ফ্ল্যাট।
বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোড ধরে আরামবাগে জনসভায় যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝুপড়িবাসীদের দুর্দশা দেখে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। ২০১৭ সালের পয়লা জুন তারকেশ্বরের প্রশাসনিক বৈঠকে ঝুপড়িবাসীদের পুনর্বাসন দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সেই নির্দেশ মেনেই ১৭ কোটি টাকা খরচে তৈরি হচ্ছে আবাসন।
advertisement
ঝুপড়ি থেকে নিজের বাড়িতে
----------------------------
- হাউজিং ফর আরবান পুওর স্কিমে আবাসন তৈরি
- পুরসভার সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে ২০টি টাওয়ার তৈরি
- প্রতি টাওয়ারে ১৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন
- প্রতি ফ্ল্যাটে ১টি শোয়ার ঘর, ১টি ডাইনিং
- এছাড়াও ১টি বাথরুম ও রান্নাঘর
- মোট ৩২০ পরিবার ফ্ল্যাট পাবে
আর ক'দিন পরেই ঠিকানা নতুন ফ্ল্যাট। মাথা গোঁজার পাকা আস্তানায় পাকাপাকিভাবে থাকা। খুশি ঝুপড়ির মানুষ।
এর সঙ্গেই ভবঘুরেদের জন্যও ভাবছে রাজ্য সরকার। আশ্রয়হীনদের রাতে ঘুমানোর জন্য ঘর তৈরি করছে তারকেশ্বর পুরসভা। ভরসার আশ্রয়ে একদম নতুন একটা ভোর। অস্থায়ী থেকে এবার স্থায়ী হওয়ার পালা।