নর্থকল অর্থাৎ তিব্বত দিয়ে যে সব পর্বতারোহীরা অভিযান করতেন তাদের অনেকেই অভিযান বন্ধ করেছেন আবার অনেকেই নেপালের দিক দিয়ে অর্থাৎ সাউথকল দিয়ে অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ সেই কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমান কিছুটা কমলেও অভিযানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে গেল বলে মনে করছেন এভারেস্ট জয়ী মলয় মুখার্জি ৷
তার দাবি এভারেস্ট অভিযান অর্থাৎ শৃঙ্গ সামিটের জন্য মাত্র ৩-৪ দিন সময় পাওয়া যাই আবহাওয়ার দিক থেকে ৷ যাকে পর্বতারোহণের ভাষায় বলা হয় সামিট উইন্ডো, মে মাসের ১৮-১৯ থেকে ২১-২২ তারিখ পর্যন্ত, এই চারদিনে যদি সব পর্বতারোহীরা একসাথে সামিটের উদ্দেশে রওনা দেয় তাহলে এভারেস্টে ট্রাফিক জ্যাম অবশ্যম্ভাবি, এবং এর জেরে পর্বতআরোহীদের অক্সিজেনের অভাব হবেই এবং ঠান্ডায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হলে পর্বত আরোহীরা Pulmonary edema তে আক্রান্ত হতে পারে ৷ এই রোগটি হচ্ছে অতিরিক্ত ঠান্ডায় ও অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় ফুসফুসে জল জমে যায়, এই রোগে আক্রান্ত আট মিটারের কাছাকাছি উচ্চতায় কাউকে বাঁচানো বা বেঁচে থাকা অসম্ভব ৷ উল্লেখ গতবছরও এভারেস্টে ট্রাফিক জামে পরে শেরপা সহ ১০ জন পর্বতারহির মৃত্যু হয়েছিল ৷
advertisement
নেপাল সরকার তাদের আর্থিক ক্ষতি রুখতে যেভাবে ঢালাও অনুমতি দিলে এই বছর মৃত্যু মিছিলের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ৷ এই বছর বহু প্রতীক্ষিত এভারেস্ট অভিযান নিয়ে অনেক সংশয় থেকেই যাচ্ছে ৷ বিশিষ্টও পর্বত আরোহীদের দাবি এভারেস্ট, এভারেস্টের জায়গায় থাকবে এই বছর না হলে পরের বছর অভিযান সম্ভব, জীবন থাকলে অভিযান সম্ভব ৷
Debashish Chakraborty