বিমানের ডানদিকের ইঞ্জিনটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে নতুন করে সারানো এবং পুনরায় ইনস্টল করা হয়েছিল। বামদিকের ইঞ্জিনটি এপ্রিল মাসে নির্মাতা সংস্থার প্রোটোকল অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়। বিমানটির কাঠামো এবং ইঞ্জিন নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় ছিল।
আকাশপথে ফের দুর্ঘটনা! ভোরবেলা কেদারনাথ যাত্রার পথে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার! ৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
২৪১ নয়, আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৪! ভাঙা প্লেনের নীচেও অজস্র শব?
advertisement
তাহলে দোষ কার? তদন্তে প্রাথমিক ভাবে উঠে আসছে, পাইলটদের হাতেই দু’দিকে যন্ত্রচালনার সিঙ্ক হয়নি। টেক অফ গিয়ারের বদলে ল্যান্ডিং গিয়ারে হাত চলে যায় একজনের, যার ফলে প্লেনটি নেমে আসে ওঠার মুহূর্তেই। এ নিয়ে বিশদে হবে তদন্ত।
রবিবার সকালে এক সাংবাদিক বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রাম মোহন নাইডু জানান, দেশের সব বোয়িং ৭৮৭ বিমানের উপর বাড়তি নিরাপত্তা পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আটটি বিমান এই বাড়তি নজরদারির আওতায় পরীক্ষা করা হয়েছে। নাইডু আরও জানান, বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুর্ঘটনা তদন্তের জন্য এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) ফরেনসিক এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করেছে।
আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১২ জুনের দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জন যাত্রীর পরিচয় DNAপরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। দেহগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং সরকার নিখরচায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিচ্ছে। জেলাশাসকের অফিস থেকে দেহ হস্তান্তরের সময় সরকারি প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন এবং মৃত্যুর শংসাপত্র সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করা হবে। এছাড়াও, যেসব পরিবার মৃতদেহ আকাশপথে নিয়ে যেতে চাইছেন, তাদের জন্য সহায়তা করছে এয়ার ইন্ডিয়া।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে, লন্ডনগামী এই ফ্লাইটটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই আহমেদাবাদের একটি মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসের ভবনে ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৯-এ পৌঁছেছে বলেই সূত্র মারফত জানা গেছে, যদিও সরকারি ভাবে এখনও তা নিশ্চিত করা হয়নি।
এই দুর্ঘটনা শুধু প্রযুক্তিগত প্রশ্নই নয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও মানবিক সহানুভূতির দিক থেকেও গভীর ভাবনার বিষয় হয়ে উঠেছে। তদন্ত চলছে, আর গোটা দেশ চেয়ে আছে—এই ভয়াবহ ঘটনার আসল কারণ জানতে।