করোনা অতিমারি আসার পর ২০২০ সালের ২০ মার্চ রেল ভাড়ায় সমস্ত রকম ছাড় তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এখনই সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনা নেই। এর আগেও এই সুপারিশ করা হলেও তা কার্যকর করেনি মোদি সরকার । কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ‘‘১২ তম পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কিত রিপোর্ট যাত্রী সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে। সে বিষয়ে কমিটি জানাচ্ছে, করোনার আগের সময়ে যেভাবে প্রবীণ যাত্রীদের টিকিটের মূল্যে ছাড় দেওয়া হত, তা পুর্নবিবেচনা করা হোক অন্তত স্লিপার এবং এসি ৩ টিয়ারের ক্ষেত্রে। তার ফলে অসহায় এবং বৃদ্ধ যাত্রীরা সুরাহা পাবেন।’’
advertisement
আরও পড়ুন - Thunderstorm Alert: হু হু করে বয়ে যাবে হাওয়া, ওলটপালট বৃষ্টি রাজ্যে-রাজ্যে, বাংলারও নিস্তার নেই
কিছু মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রেলের একটি বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে ৷ সেই বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ১ জুলাই থেকে ফিরছে রেলে ছাড়। যদিও রেল বোর্ডের কর্তাদের দাবি, এমন কোনও বিজ্ঞপ্তিই জারি হয়নি ৷ ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে ফের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে ৷ ছাড় তুলে নেওয়ায় রেল মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে অখুশি ছিলেন যাত্রীরা। তবে কেন্দ্রের ঘোষণা ছিল, বিশেষভাবে সক্ষম, পড়ুয়া ও রোগীদের ছাড় থাকছে আগের মতোই।
আরও পড়ুন - IPL 2023: সৌরভের হাত ধরে বাংলার ক্রিকেটার ও কোচরা যোগ দিচ্ছেন দিল্লিতে, ফের যোগ এক বাঙালির
করোনার ধাক্কায় কাবু হয়েছে দেশের অর্থনীতি। ক্ষতির মুখে পড়েছে রেলও। করোনাকালে স্পেশ্যাল ট্রেন চালু হলেও তুলে দেওয়া হয় সব রকম ছাড়। ভাড়ায় ছাড়ের কারণে রেলের উপর আর্থিক চাপ বাড়তে থাকে বলে দাবি তাদের। তবে বারবার বলেও প্রবীণদের জন্য রেলের ভাড়ায় ছাড় ফেরানো নিয়ে চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রেল। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি, পড়ুয়া ও রোগীদের মতো নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে ভাড়ায় ছাড় ছিল আগের মতোই। প্রবীণ নাগরিকদের রেলের টিকিটে ছাড় না দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন যাত্রীরা। ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ি, মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫৮ বছর ও পুরুষদের ৬০ বছর বয়স হলে ভাড়ায় ছাড় পাওয়া যায়। মহিলারা পান ৫০ শতাংশ ছাড়, পুরুষরা পান ৪০ শতাংশ ছাড়।
RAJIB CHAKRABORTY