এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার মন্ত্রিসভার মিটিং করতে জেলে যেতে হবে। কিম্বা দলের মিটিং করতে জেলে যেতে হবে। এই সবে শুরু। এক এক করে আরও অনেক তৃণমূল নেতা জেলে যাবে।"
গত কয়েকদিনে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। এই নেতা মন্ত্রীরা যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন। দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যারা রাজনীতি করেছেন বা কথা বলেছেন। সেই রকম ৭৩১ জনকে মাদক কিম্বা অজামিনযোগ্য অপরাধের মামলা দিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। সেই লোকগুলো এখনও জেলে পচে মরছে। তিনি দাবি করেন বাংলার মানুষ আগে থেকেই সব জানত। ইডি, সিবিআই যেভাবে গ্রেফতার করছে বাংলার ভাবমূর্তি ঠিক করার জন্য সেটার প্রয়োজন ছিল।
advertisement
দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিত,তারা অর্থাৎ বিজেপি প্রস্তুত রয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে লড়াইয়ের জন্য। তিনি এও বলেন ,'যে ভাবে পঞ্চায়েত স্তর থেকে বিধায়ক, সাংসদেরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাতে অনেককেই একে একে জেলে যেতে হবে।' অন্যদিকে রাজ্যের রাস্তা মেরামত করার জন্য ও ১০০ দিনের কাজের জন্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই অভিযোগে সোচ্চার হয়ে রাজ্য নাবার্ড থেকে ঋণ নেবে বলে খবর। দিলীপ বাবু এই প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন 'কেন্দ্র থেকে এর আগে যা টাকা নিয়েছে সেই টাকার কোনও হিসাব দিচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। হিসেবে না দিলে কেন্দ্র টাকা দেবে না। উনি এবার টাকা আনতে কোথায় যাবেন? বিশ্বব্যাঙ্কে?'
ফিরহাদ হাকিম গতকালই অভিযোগ করেছেন,তাঁদের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র অপমান করছে।ইডি, সিবিআই লাগিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পিছনে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,' আমি দিলীপ ঘোষ বা মোদি'জি কেউই কেস করতে যাইনি। মামলা করেছে সাধারণ মানুষ। এত ভয় কীসের?'