পরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জসিম বলেছেন, "তৃণমূল কংগ্রেস আসলে সংসদকে অপমান করেছেন এটি দেশের অপমান, গণতন্ত্রের অপমান সংসদের কার্যকারিতা রদ করে রেখেছে বিরোধীরাই তৃণমূল কংগ্রেস অন্যতম ভূমিকায় রয়েছে। সংসদে নিয়ম মেনে কোনও বিল পাস হলে তাকে 'পাপড়ি চাট' বলা চলে না। ডেরেক ও ব্রায়েনর উচিত এই মন্তব্যের জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।"
advertisement
যদিও নিজের মন্তব্যে অনড় রয়েছেন ডেরেক। দলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে ক্ষমা চাওয়া তো দূর অস্ত, সংসদে পেগাসাস ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে আলোচনা করা হলে অধিবেশন চলতে দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য সংসদের চলতি অধিবেশনের বেশিরভাগ সময়ই নষ্ট হয়েছে বিরোধীদের হই হট্টগোলের জেরে। মূলত পেগাসাস, তিনটি কেন্দ্রীয় কৃষি আইন এবং পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চাইছেন বিরোধীরা। সরকার কোন মতেই সে পথ মাড়াতে নারাজ। দুপক্ষের এই জেদাজেদির মধ্যে সংসদে লোকসভা ও রাজ্যসভা কার্যত ভেস্তে যাচ্ছে দিনের পর দিন।
যদিও এর মধ্যে দুই কক্ষেই এক প্রকার জোর করে বিল পাশ করিয়ে নিচ্ছে সরকার। এখানেই আপত্তি বিরোধীদের। গত কয়েক দিনে প্রায় এক ডজন বিল পাস হয়েছে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে। সোমবার এই ঘটনার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন ডেরেক ও' ব্রায়ান। এর আগে তিনি ইউপিএ সরকারের আমলে বিল পাসের পদ্ধতি এবং ইন্ডিয়া আমলে বিল পাসের পদ্ধতি তুলনামূলক গ্রাফিক্স করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মোদি সরকার সংসদে বিল পাশ করলেও আলোচনা ছাড়াই তা পাস করায়। বিরোধীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে মোদি সরকার গত কয়েক বছরে প্রায় ৮০ টি আইন আলোচনা ছাড়াই পাশ করিয়েছে।
ডেরেকের মতে, "এই পদ্ধতি অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক।" মঙ্গলবার সকালে সংসদ ভবনে দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ডেরেকের মন্তব্যের উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, সংসদে বিল পাস করাকে যারা 'পাপড়ি চাট' বলেন, সংবিধান ও গণতন্ত্র সম্পর্কে তাঁদের মানসিকতার পরিচয় মেলে। নেহাত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই এই ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে কিন্তু এই ধরনের মন্তব্য গোটা বিশ্বের দ্বিতীয় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতবর্ষের অপমান। প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ছাড়াও রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদরা ডেরেক ও'ব্রায়েনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু কাছে। যদিও সংসদের বাইরে সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্য নিয়ে সংসদের ভেতরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।