কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব হাসমুখ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বছর শেষ হওয়ার আগে অ্যাকাউন্টে আড়াই লাখের বেশি টাকা জমা পড়লে তা হবে করের আওতাভুক্ত ৷ তবে যদি আয়ের সঙ্গে জমা দেওয়ার টাকার মধ্যে সাযুজ্য না থাকে তাহলে ২০০ শতাংশ জরিমানার কোপে পড়বেন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ৷
সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে সব অ্যাকাউন্টে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা বা তার বেশি অর্থ জমা পড়বে, সে সব অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের আয়ের সঙ্গে জমা নগদের সঙ্গতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে আয়কর দফতর ৷
advertisement
রাজস্ব সচিব আধিয়ার হুঁশিয়ারি, আয়ের সঙ্গে জমা নগদের অসঙ্গতি মিললেই ২০০ শতাংশ জরিমানা ৷ জমা নগদের অসামঞ্জস্য আয়কর ফাঁকি বলেই ধরা হবে ৷ এই অপরাধে আয়কর আইনের ২৭০(ক) ধারায় ডিপোজিট করা টাকায় যা কর হয়, তার ২০০ শতাংশ মূল্য জরিমানা হিসেবে দিতে হবে ৷
আবার ১০ লক্ষের বেশি নগদ কারোর অ্যাকাউন্টে জমা হলে, তার আয়কর রির্টানও খতিয়ে দেখবে আয়কর বিভাগ ৷ সেক্ষেত্রেও অসামঞ্জস্য মিললে দিতে হবে ২০০ শতাংশ জরিমানা ৷
তবে একইসঙ্গে রাজস্ব সচিব জানিয়েছেন, মজুর, গৃহবধূ, শ্রমিক, ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে দেড়-দু লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই ৷ তারা বেশিরভাগ ঘরেই টাকা জমান ৷ তাই তাদের আয়কর দফতরের হয়রানির মুখে পড়তে হবে না ৷
সোনার গয়না কেনাবেচাতেও নজর রাখবে আয়কর দফতর ৷ সে ব্যাপারেও রাজস্ব সচিব আধিয়া স্পষ্ট করেছেন সরকারের ভাবনা ৷ কালো টাকা সাদা করতে প্যান ছাড়া গয়না কেনার কোনও প্রচেষ্টা হচ্ছে কিনা তাও নজর রাখবে কেন্দ্র ৷ গয়না বিক্রেতাদের প্যান নম্বর ছাড়া গয়না বিক্রি করলে শাস্তির মুখে পড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আধিয়া ৷
সূত্রের খবর, ৫০০ ও ১০০০-এর নোট নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এক শ্রেণীর অসাধু গয়না ব্যবসায়ী বাজার দরের থেকে বেশি দামে গয়না বিক্রি করে ক্রেতাকে কালো টাকা সাদা করায় সাহায্য করছে ৷ এই ব্যবস্থা ঠেকাতেই কেন্দ্রের এই হুঁশিয়ারি ৷