ঘটনাটি খোদ রাজধানীর ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দীপক ও শোভনা আরোরা আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ৷ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ শোভনা ৷ তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল অনেক টাকার ৷ সেই কারণেই প্রতারণার ছক কষেন স্বামী-স্ত্রী ৷ ঠিক হয়, ব্যাঙ্কের এজেন্ট হিসাবেই এই কাজে নামবেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: ‘ওরা স্কুল যেতে চায়নি, আর কোনওদিন ফিরবে না’, ডুকরে উঠলেন তিন ছেলে-মেয়ের মা
advertisement
সেই মতো পশ্চিম দিল্লির বাসিন্দা এক মহিলাকে ফাঁদে ফেলেন দীপক-শোভনা ৷ ওই মহিলার বাড়ি গিয়ে, তাঁর আস্থা অর্জন করেন ৷ প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে শোভনার কথায় অভিভূত হয়ে যান তিনি ৷ শেষ পর্যন্ত নূন্যতম সুদে ১২ লক্ষ টাকা ঋণ নেন ওই মহিলা ৷ প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্রের সঙ্গে একটি ক্যানসেলড চেকও দেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: ভাগাড়ের মাংসকাণ্ডে তল্লাশি, নারকেলডাঙায় হিমঘরে থেকে উদ্ধার প্রচুর পচা মাংস
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই মহিলা ব্যাঙ্কের মেসেজে দেখতে পান তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে ছোটেন তিনি ৷ জানতে পারেন তাঁর সই করা ক্যানসেলড চেক দিয়েই ওই টাকা তোলা হয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ৷
তদন্তে নেমে পুলিশ দীপককে গ্রেফতার করে। শোভনা দিল্লির একটি হোটেলে থেকে ওই টাকা দিয়ে নিজের চিকিত্সা করাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর খোঁজে গিয়ে শোভনা পাওয়া যায় না ৷ শোভনার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷