মুখ্যমন্ত্রী এ দিন স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যেখানে যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানে সেখানে বাসিন্দাদের আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে আনতে হবে। আবার পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে এই কাজে নেমে যে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে তাও বুঝিয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াই, প্রয়োজনে আগে থেকেই মাস্ক-স্যানিটাইজার পাঠিয়ে দেওয়া হোক।
এ দিনের বৈঠকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু অংশ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জেলা প্রশাসনগুলি কী ভাবে প্রস্তুতি নিয়েতে তা নিয়ে একাধিক গাইড লাইন দেওয়া হয়েছেও জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত আগামী ২৫ মে সন্ধ্যেতে এই ঝড় রাজ্যে আছড়ে পড়ার সম্ভবনা। তার আগেই যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলা হয়েছে জেলাপ্রশাসনকে।
advertisement
জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে নবান্নের গাইডলাইন-
- কোনও ট্রলার বা নৌকার সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ করতে বলে হয়েছে। যারা গেছেন তাদের ফিরে আসতেও বলা হয়েছে।
- নদীতে, উপকূলে যেসব মৎস্যজীবীরা রয়েছেন, দূরে গেলে ২৩মে-র মধ্য সবাইকে ফিরে আসতে হবে।হেলিকপ্টারে খতিয়ে দেখা হবে কোথায় কোথায় রয়েছেন তাঁরা।
- ২২ তারিখ ঝড় তৈরি হওয়ার আভাস রয়েছে। তারপর বোঝা যাবে কোথায় লান্ডফল হবে। হিংলগঞ্জ,সন্দেশ খালিতে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
- সংশ্লিষ্ট দফতরের সরকারিদের ছুটি বাতিল করতে জেলাশাসকদের। এসপিদেরও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।