সেই মামলার শুনানিতে আবদুল লতিফকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, তারমধ্যে সিবিআই ডাকলে হাজিরা দিতে হবে আবদুল লতিফকে। যদিও গ্রেফতার করা যাবে না তাঁকে। আগামী সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। চলতি মাসেই শক্তিগড়ে শুট আউটে খুন হন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। অভিযোগ, সেই রাজু ঝায়ের গাড়িতেই নাকি দেখা গিয়েছিল গরু পাচার কাণ্ডের এই অভিযুক্ত আব্দুল লতিফকে।
advertisement
দাবি করা হচ্ছে, সেই সময় আব্দুল লতিফের গাড়িতে আব্দুল লতিফ, রাজু ঝা, আব্দুল লতিফের চালক ও ব্রতীন মুখোপাধ্যায় আসছিলেন। শক্তিগড়ে অন্য একটি নীল গাড়ি করে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি করে লতিফের গাড়িতে সওয়ার রাজুকে। তাতেই মৃত্যু হয় কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের। ভাইরাল ভিডিওয় ধরা পড়ে আব্দুল লতিফের ছবিও। এরপরই ওঠে প্রশ্ন।
যিনি পলাতক তিনি রাজু ঝা সঙ্গে কী করছিলেন? ইডি সূত্রে খবর, ২৯ মার্চ ইডির দিল্লিতে সদর দফতরে তলব করা হয় লতিফকে। সেইসময় কেমোথেরাপি চলছে বলে জানিয়ে হাজিরা এড়ান গরুপাচারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। দিল্লিতে ইডি দফতরে না গেলেও, তলবের দু’দিন পরে, শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা-কে খুনের সময় উপস্থিত ছিলেন আবদুল লতিফ। প্রশ্ন উঠছে, সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার, ইডি-র তলবে গরহাজির থাকার পরেও, কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরছিলেন গরুপাচারের কিংপিন? নেপথ্যে প্রভাবশালী যোগ? ওঠে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন, আর মাত্র দেড় মাস! বিরল অবস্থানে যাচ্ছে শনি, ৫ রাশি এখনই সতর্ক হয়ে যান
আরও পড়ুন, টানা চলছে বৃষ্টি, কমছে গরম! দিঘায় আবহাওয়ার বিরাট বদল, জানুন বিশদে
এর আগে তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘‘রাজু ঝার পরিবারের লোকজনও তাঁকে জানিয়েছেন যে, রাজুর সঙ্গেই সেদিন একই গাড়িতে লতিফও ছিলেন। লতিফ গাড়ি থেকে নামতেই রাজুকে লক্ষ্য করে শক্তিগড়ের ল্যাংচা দোকানের সামনে গুলি চালায় আততায়ীরা।’’
রাজীব চক্রবর্তী