আর এখানেই দেখা দিয়েছে বিপদের করাল ছায়া। দেশের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোর অবস্থাও কিন্তু শোচনীয়। এমনিতেই গ্রীষ্মকালে রক্ত সরবরাহে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় একটা ঘাটতি দেখা যায়। এবার সেই ঘাটতি একেবারে চরমে গিয়ে পৌঁছতে চলেছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন না, কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা যাবে না আগের মতো বহুল পরিমাণে পাড়ায় পাড়ায়। ফলে, মুমূর্ষু রোগীর রক্ত পাওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি হবেই! অন্য দিকে, এই সঙ্কটকে দ্বিগুণ করে তুলবে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ। কেন না, ভ্যাকসিন নেওয়ার ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মাথায় রক্তদান করা যায় না। তার মানে, আগামী দুই মাস শুধুমাত্র রক্তের অভাবে দেশের একটা বড় অংশের জনসংখ্যার মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
advertisement
এই জায়গা থেকেই এবার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, রিলিফ এবং রিহ্যাবিলিটেশন মন্ত্রী বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার (Vijay Wadettiwar) একটি অনুরোধ রেখেছেন দেশবাসীর কাছে। তিনি বলেছেন যে সবাই যেন দেশের এই আপৎকালীন পরিস্থির কথা মাথায় রেখে আগে রক্তদান করে তার পরেই একমাত্র ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন! ওয়াদেত্তিওয়ার এই প্রসঙ্গে বলতে ভোলেননি যে এখন দেশের হাসপাতালগুলোয় একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং অন্য রোগীর চিকিৎসা চলছে। ফলে কখন কার রক্ত প্রয়োজন পড়ে, তা বলা মুশকিল! এবং স্বাভাবিক হিসেব মতোই অন্য সময়ের চেয়ে এখন রক্তের চাহিদা বেশি থাকবে। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অনুরোধ, যেহেতু একবার ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেলে ৪৫ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত রক্ত দেওয়া যাবে না, তাই সবাই যেন আগেভাগে রক্তদান করেন। একমাত্র তাহলেই দেশের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোয় রক্তের জোগান এবং চাহিদার মধ্যে কিছুটা হলেও ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।