সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পর নিকটবর্তী সোরো হাসপাতালে মোট ১৬৫ জন যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালজুড়ে কান্নার রোল। ভিড় বাড়ছে আত্মীয়-স্বজনদের। এই ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারত যাওয়ার সমস্ত ট্রেন বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওড়িশাগামী ট্রেনও বাতিল। এর ফলে যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কাও রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ! চলছে উদ্ধারকাজ, করমণ্ডল এক্সপ্রেস যেন মৃত্যুপুরী
বাহানা গা স্টেশনের অকুস্থলে রেল লাইনের পাশে সারসার মৃতদেহ। মৃতদেহের অদূরে রাখা তাদের ব্যবহৃত জিনিস। সেখানে রয়েছে তাদের মোবাইল ফোন। সংবাদমাধ্যমে রেল দুর্ঘটনার খবর জানার পর প্রিয়জনের মোবাইলে ফোন করছেন তাদের বন্ধু আত্মীয়রা। সেই ফোন বেজে যাচ্ছে। তোলার কেউ নেই ।
আরও পড়ুন: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি, চলছে উদ্ধারকাজ
কার্যত ধ্বংস হয়ে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসে স্নিফার ডগ নিয়ে মৃতদের খোঁজ চলছে এখনও। তবে এই প্রথম দুর্ঘটনায় পড়ল না করমণ্ডল এক্সপ্রেস। অতীতে এই ওড়িশায় একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ‘কিং’। যে ট্রেনে চেপে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে যান। এমনকী বাংলাদেশের মানুষরাও সেই ট্রেনে করে দক্ষিণ ভারতের শহরে গিয়ে থাকেন। অনেকে আবার কর্মসূত্রে চেন্নাইয়ে যেতে সেই ট্রেন ব্যবহার করে থাকেন। যে ট্রেন আগে হাওড়া থেকে ছাড়ত। বর্তমানে শালিমার থেকে ছাড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।