ওই ট্রেন চালকের অবশ্য দাবি, খড়্গপুর পর্যন্ত ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেন বা ইঞ্জিনের গতিবিধিতে কোনও অস্বভাবিকতা তাঁর নজরে পড়েনি৷ তাই কীভাবে এমন বিপর্যয় ঘটে গেল, তা বুঝতে পারছেন না অভিজ্ঞ এই ট্রেন চালকও৷
আরও পড়ুন: মাত্র ২৩ সেকেন্ডে বিপর্যয়, কত ছিল দুই ট্রেনের গতি? রেলের হাতে মারাত্মক তথ্য
advertisement
শুক্রবার দুপুর ২.৪৫ মিনিট নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস৷ ট্রেনের পরবর্তী স্টপেজ ছিল খড়্গপুরে৷ রেলের নিয়ম অনুযায়ী, শালিমার থেকে খড়্গপুর পর্যন্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল আর কে মণ্ডলের উপরে৷ সেখানেই অন্য চালকের হাতে ট্রেনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন তিনি৷ দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের লোকো পাইলটের দায়িত্বে ছিলেন ওই চালকই৷
খড়্গপুর ছাড়ার পর সন্ধে ৬টার কিছু পরে ট্রেনটি পৌঁছয় বালাসোরে৷ এর মিনিট পঞ্চাশেক পরে সন্ধে ৬.৫৫ মিনিট নাগাদ বহংগাবাজার স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস৷ নির্দিষ্ট লাইন ছেড়ে পাশের লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে তীব্র গতিতে ধাক্কা মারে ট্রেনটি৷ যদিও দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়৷
এ দিন ফের শালিমার স্টেশনে এসে নিজের ডিউটিতে যোগ দিয়েছেন ট্রেন চালক আর কে মণ্ডল৷ কিন্তু যে ট্রেন নিয়ে গতকাল খড়্গপুর পর্যন্ত নিরাপদে গেলেন, সেই ট্রেনের যাত্রীরাই এমন বিপদে পড়লেন, তা কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছেন না অভিজ্ঞ এই লোকো পাইলট৷