বিহারে ভোটের চাকা সবে তখন গড়িয়েছে। রামবিলাস পাসোয়ান অসুস্থ হতেই স্টিয়ারিংয়ে বসেন চিরাগ। চিরাগ আসার পর থেকেই একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন। বাবাকে অসম্মান করেছেন নীতীশ কুমার, এই অভিযোগে নীতীশ বিরোধিতা শুরু করেন তিনি। জে পি নড্ডাকে চিঠি দিয়ে তিনি জানান, এনডিএ ছাড়ার কার্যকারণ।
তারপর থেকেই নানা তত্ত্ব চিরাগ সামনে আনতে থাকেন। দুর্নীতি অস্ত্রে বিঁধতে থাকেন নীতীশের দলকে। জনসভায় বলেন, পট পরিবর্তন হলে নীতীশকে জেলে পাঠাবেন দু্র্নীতির কারণে।
advertisement
তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলের ব্যবস্থা রেখেছিল এনডিএ। এলজিপির দলিত তাসের ঘর ভাঙতে নীতিশরা সঙ্গে রেখেছিলেন মহাদলিত নেতা জিতনরাম মাঝির দল হিন্দুস্থান আওয়ামি মোর্চাকে। নীতিশের দল বিলক্ষণ জানতেন, জিতনরাম মাঝির হাতে দলিত ভোটের একটা বড় অস্ত্র রয়েছে। সেই অস্ত্রই ঘায়েল করেছে চিরাগকে। জেডিউকে পাল্লা দেওয়া তো দূরে থাক, বিহারে প্রায় চিহ্ন না থাকা বামেরাও কয়েক গুণ ভালো ফল করতে চলেছে বিহারে। সব দেখে শুনে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের টিপ্পনী, চিরাগ গর্জালেন বটে, বর্ষালেন না।