ট্যুইটে চিদম্বরম বলেন, ‘সার্জিকাল স্ট্রাইকে ২০০ থেকে ৩০০ জন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ৷ এমনটাই দাবি করছে বিজেপি শাসিত সরকার ৷ ভারতের বিমানহানায় আদৌ কতজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ সেই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার ভাইস এয়ার মার্শাল ৷ অন্যদিকে, বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকেও কোনও তথ্য পেশ করা হয়নি জঙ্গি নিধনের ৷ তবে, এরপরও মেনে নেওয়া যেতেই পারে যে, ভারত হামলা চালিয়েছে ৷ নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ধ্বংস করে এসেছে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ৷ কিন্তু ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ সেটি কীভাবে দাবি করা হচ্ছে ?’
advertisement
গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি ভোররাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা ৷ বায়ুসেনার সেই সাফল্যের পর ট্যুইট করে সবার প্রথম ভারতীয় সেনাদের স্যালুট জানান কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি ৷ কিন্তু মোদি কেন ভুলে গেলেন বায়ুসেনাদের শুভেচ্ছা জানাতে ? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন চিদম্বরম ৷
পাকিস্তানে ঢুকে বায়ুসেনা যেভাবে পুলওয়ামার বদলা নিয়েছে, সকলেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিজেপির অনেক নেতা আবার এই সামরিক সাফল্যের কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদিকে দিতে মরিয়া। এই প্রেক্ষাপটে, সেনার পাশে দাঁড়ানের বার্তা দিয়েও, বিরোধীরা জানতে চায়, বালাকোটে ক্ষয়ক্ষতি কত হয়েছে? এর জন্যই এখন প্রায় প্রতিদিনই বিরোধীদের আক্রমণ করছেন নরেন্দ্র মোদি। রবিবার পটনার গান্ধি ময়দানের সভাতেও তার অন্যথা হয়নি ৷ রবিবার পটনার সভা থেকে মোদি দাবি করেন, ‘সেনার সাফল্যকে সন্দেহ করা হচ্ছে ৷ সার্জিকাল স্ট্রাইকের মতো এবারও প্রমাণ চাইছে ৷ কংগ্রেস ও সহযোগী দলের থেকে জানতে চাই কেন বীর সেনাদের মনোবল ভাঙছেন ? কেন এমন মন্তব্য করছেন যাতে শত্রুপক্ষের ফায়দা হয় ? সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার মুখ খুললেন চিদম্বরম ৷