দুই বিচারপতি নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানান, ধর্ষণের শিকার যিনিই হোন না কেন, তাঁকে জীবিত থাকতে হবে৷ কর্ণাটক হাইকোর্টের ২০২৩ সালের একটি রায়ের উদাহরণ দিয়ে দুই বিচারপতি বলেন, ‘মৃতদেহের সঙ্গে সহবাসকে ভারতীয় আইনে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয় না এবং এই অপরাধের জন্য অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা যায় না৷’
advertisement
একটি ৯ বছর বয়সি নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায় দিতে গিয়ে এই রায় দিয়েছে ছত্তিশগড় হাইকোর্ট৷ অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে নীতিন যাদব নামে এক অভিযুক্ত অপহরণ করে ধর্ষণ এবং খুন করে৷ এর পর একটি পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকার দেহ মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়৷ তার আগে ওই নাবালিকার মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস করে আর এক অভিযুক্ত নীলকান্ত৷
এই মামলার রায় দিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের নিঠারী হত্যাকাণ্ডেরও তুলনা টেনে আনে আদালত৷ সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার উল্লেখ করে দুই বিচারপতি জানান, প্রত্যেকের যেমন সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে, একই ভাবে সম্মানজনক মৃত্যুর অধিকারও প্রত্যেকের আছে৷ হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, ‘ওই নাবালিকার মৃতদেহের সঙ্গে যে ঘৃণ্য কাজ করা হয়েছে, তা দেখে চোখ বন্ধ করে থাকা যায় না৷ আদালত মনে করিয়ে দেয়, মৃতদেহকে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সম্মতি, বিশ্বাস এবং সম্মানের তিনটি শর্তই লঙ্ঘিত হয়েছে৷ মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস অথবা নেক্রোফিলিয়াকে ভারতীয় সংবিধানে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা না থাকলেও একজন মৃতের মানবাধিকারের বিষয়টি উপেক্ষা করা সম্ভব নয়৷’