‘‘আমি বিহারের জনগণের প্রজ্ঞাকে সালাম জানাই। তাঁরা জঙ্গলরাজকে পিছনে ফেলে মোদিজির উপর আস্থা রেখেছেন। তাঁরা নীতিশ কুমারের ভাবমূর্তি এবং তাঁর উন্নয়ন নীতির উপর আস্থা প্রকাশ করেছেন। মা ও বোনেরা এতে বিশাল ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁরা একটি নীরব, কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; এটি সুনামির চেয়ে কম নয়’’, বলছেন রবি কিষণ।
advertisement
ছাপরা আসনের জন্য খেসারি লাল যাদবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে রবি কিষণ বলেন, ‘‘দেখুন, রাম মন্দিরের বিরোধিতা করা বা ধর্মকে ইস্যু করা আমাদের নির্বাচনী এজেন্ডা ছিল না। আমরা সবসময় জঙ্গলরাজ, খুন, চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির বিষয়গুলি জনগণের সামনে তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই কথা বলেছেন, নীতিশ কুমারও বলেছেন এবং আমাদের সমস্ত এনডিএ শরিকরা এই বিষয়ে অটল। আমরা ধর্মের রাজনীতি করিনি। ইতিমধ্যে নির্মিত মন্দিরে আক্রমণ করার কোনও প্রয়োজন ছিল না। শব্দ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও গোরক্ষপুর থেকে দু’বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি’’, বলছেন তিনি।
আরও পড়ুন– ফুটবলার থেকে পানওয়ালা, পঞ্চাশ বছরের ‘সাঁতরার পান’ এখন ভারত বিখ্যাত
রবি কিষণ আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকলকে সংযম এবং শব্দভাণ্ডারের ব্যবহার শেখান। এটাই বিজেপির বৈশিষ্ট্য। আমাদের ভিড়ের প্রতি অতিরিক্ত অধৈর্য হওয়া উচিত নয়। লোকে শিল্পীদের কাছেও ভিড় করে, কিন্তু ভোটাররা আলাদা। আমাদের তাঁদের উন্নয়ন দেখাতে হবে এবং আমাদের নেতাদের ভাবমূর্তি ব্যাখ্যা করতে হবে। আমাদের দু’জন মহান নেতা আছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বিশিষ্ট নেতা, নরেন্দ্র মোদি এবং নীতীশ কুমার। দেখবেন, আমরা সহজেই ২০০ আসন ছাড়িয়ে যাব। আমি প্রথম দিন থেকেই বলেছিলাম যে আমরা ১৭০-১৮০ এর কম জিতব না’’, রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী তিনি।
