বেঙ্গালুরুর পর সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বৈঠক ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠক। আজ সকাল ১০ টায় সংসদ ভবনে বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকাজুর্ন খাড়গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগামিকাল সেই বৈঠকে যোগ দিতে মণিপুর থেকে দিল্লি এসেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। এবারের বাদল অধিবেশনে অন্যান্য দলের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয় হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ২১ জুলাই সমাবেশ থাকায় প্রথম দুদিন সংসদে থাকতে পারবেন না তৃণমূল সাংসদরা। আগামী সোমবার বাদল অধিবেশনে যোগ দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন: INDIA নামে আপত্তি, বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে এফআইআর, কমিশনে চিঠি! শুরুতেই বিতর্ক
এবারের বাদল অধিবেশনে যে বিলগুলি আনতে চলেছে মোদি সরকার, তারমধ্যে রয়েছে দিল্লির অধ্যাদেশ বিল। তালিকার একবারে শীর্ষে রাখা হয়েছে বিলটি। এই বিলটি নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় ওঠে।
আম আদমি পার্টি ২৩ জুন পটনার বৈঠক শেষে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছিল, দিল্লির অর্ডিন্যান্স, অর্থাৎ দিল্লির আমলা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স নিয়ে কংগ্রেস নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করলে বিরোধী জোটের পরবর্তী বৈঠকে তাদের পক্ষে যোগ দেওয়া মুশকিল হবে৷ যদিও পরে বিলের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষে মল্লিকার্জুন খাড়গে আগেই জানিয়েই দিয়েছিলেন যে, তাঁরা বিজেপির কোনও প্রস্তাবকেই সমর্থন করবেন না৷ কিন্তু, বাধা আসে কংগ্রেসের দিল্লি এবং পঞ্জাব সেল থেকে৷
বিষয়টি আরও জটিল হয় যখন, পঞ্জাবের আপ সরকারের দুর্নীতি বিরোধী ধরপাকড়ে গ্রেফতার হন পঞ্জাবের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও পি সোনি৷ আপ ও কংগ্রেসের মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে নীতীশ কুমার৷ তাঁরা দু’জনেই কংগ্রেস নেতৃত্বকে বোঝান, কংগ্রেস যদি অর্ডিন্যান্স নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করে, তাহলে বিরোধীদের প্রতিরোধ পাঁচিলে দিল্লি-পঞ্জাবের মতো প্রমাণ সাইজের ফাঁক তৈরি হবে৷