২০১৯ সালে সংসদে পাস হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন৷ কিন্তু তার পর থেকে বিধি তৈরির কারণে পাঁচ বছর ধরে এই আইন কার্যকর করা সম্ভব হয়নি৷ যদিও গত বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপি নেতারা দাবি করছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে৷
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব বাতিল হলে, চুপ থাকব না, আইন দেখে হাবড়া থেকে সিএএ নিয়ে বলবেন মমতা
advertisement
সিএএ আইনের অধীনে প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের মানুষ সিএএ আইনের অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷
২০১৯ সালে সংসদে পাস হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন৷ কিন্তু তার পর থেকে বিধি তৈরির কারণে পাঁচ বছর ধরে এই আইন কার্যকর করা সম্ভব হয়নি৷ যদিও গত বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপি নেতারা দাবি করছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে৷
সিএএ আইনের অধীনে ঠিক কী পদ্ধতিতে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে, তারই পদ্ধতি এ দিন জানিয়ে দেওয়া হবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের পদ্ধতি একেবারেই সরল রাখা হচ্ছে৷ সম্ভবত লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের আস্তিনের শেষ তাস বের করতে চলেছেন মোদি-শাহরা৷
সূত্রের খবর, সিএএ আইনের অধীনে নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য একটি পোর্টাল চালু হবে৷ সেই পোর্টালের মাধ্যমেই মোবাইল নম্বর দিয়ে ওটিপি-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহীরা নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন৷
পশ্চিমবঙ্গের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যে সিএএ আইন কার্যকর হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে বড় অস্ত্র হতে চলেছে৷ বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে নিজেদের অনুকূলে টানতে সিএএ আইন বিজেপির প্রচারের বড় অস্ত্র হতে চলেছে৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিরোধীরা বার বারই সিএএ-এর বিরোধিতা করে এসেছেন৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য বার বার দাবি করেছেন, সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য কার্যকর করা হচ্ছে, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়৷