জয়াদিত্য শেট্টি
সাধারণ গণিত, মেমোরি, মেন্টাল ম্যাথ ও স্পিড রিডিংয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করার পর টার্কি ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৯ জেতে জয়াদিত্য। সে মেন্টাল ডিভিশন (১০ থেকে ৫ সংখ্যা) ও বাইনারি সংখ্যা (৫ মিনিট)-য় বিশ্ব জয়ী (বাচ্চাদের বিভাগে)।
১৩টি দেশ থেকে আসা ১৬৮ জনের সঙ্গে লড়ে এই খেতাব জেতে সে। এছাড়াও ৬টি ট্রফি ও ৯টি মেডেল রয়েছে তার ঝুলিতে। যার মধ্যে ৬টি স্বর্ণপদক, ১টি রৌপ্যপদক ও ২টি ব্রোঞ্জ রয়েছে।
advertisement
এই প্রতিযোগী বড় হয়ে কী হতে চায়, তা জানিয়েছে তার মেন্টরকে। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, বড় হয়ে নিজেকে ম্যাথলেট বলে পরিচয় দিতে চায় সে। এবং ম্যাথলেট হিসেবে তার অনেক ফ্যান হোক, তাও চায় সে। এই জার্নিতে তাকে শুরু থেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন ইউসিবিয়াস নোরোনহা (Eusibius Noronha), মেলিক দুয়ার (Melik Duyar), প্রয়াত শকুন্তলা দেবী(Shakuntala Devi ), ইউস্নিয়ার ভিয়েরা (Yusnier Viera), জিওঙ্ঘি লি (Jeonghee Lee)-র মতো ম্যাথলেটরা। শুধু অঙ্কই নয়, সে কিন্তু ক্রিকেটেরও ভক্ত। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) বিরাট ফ্যান সে।
অবন্তিকা কাম্বলি
বয়স মাত্র ১১। কিন্তু মাথা চলে অনেক বড় বড় মানুষের চেয়েও তীক্ষ্ণ গতিতে। ইতিমধ্যেই জার্মানি, দুবাই, টার্কি, সিঙ্গাপরে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে এই খুদে। বর্তমানে সে দুবাই মেন্টাল ম্যাথামেটিক্স ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় করে এনেছে। ওপেন ও কিড এই দুই বিভাগে মেডেল জিতেছে সে।
টার্কি ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৯-এও ওপেন ও কিড এই দুই বিভাগে ৬ ডিজিট স্কোয়্যার রুট ক্যাটেগরিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সে।
বড় হয়ে শকুন্তলা দেবীর মতো হতে চায় এই খুদে প্রতিভা।
চিরাগ রাঠি
বয়স মাত্র ১৫। এই বয়সেই ২০ কোটি পর্যন্ত নম্বর যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ করতে পারে চিরাগ রাঠি। ৪০ কোটি পর্যন্ত নামতা করতে পারে। সঙ্গেই ১০০ কোটি পর্যন্ত নম্বরের স্কোয়্যার, স্কোয়্যার রুট, কিউব ও কিউব রুট করতে পারে সে। শুনলে অবাক হতে হয়, এই সমস্ত হিসেব সে কয়েক সেকেন্ডে করতে পারে।
চাষির ছেলে চিরাগকে ইতিমধ্যেই অনেকে শকুন্তলা দেবীর সঙ্গে তুলনা করেন। সেও বড় হয়ে তাঁর মতোই হতে চায়। এই খুদেও ক্রিকেট ভক্ত এবং ভালোবাসে মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) খেলা দেখতে।
প্রসঙ্গত, দেশের নানা প্রান্তের খুদে প্রতিভাদের প্রকাশ্যে আনতে উদ্যোগ নেয় দেশের অন্যতম বড় এড-টেক সংস্থা BYJU’S। জুটি বাঁধে News18 নেটওয়ার্কও। Young Genius নামে নতুন এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি থেকে। অনুষ্ঠানের প্রতিটি এপিসোডে শিক্ষা, কলা, ক্রীড়া, প্রযুক্তি, খেলাধুলা-সহ নানা ক্ষেত্রের প্রতিভাবান শিশুদের তুলে ধরা হচ্ছে।