একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে দুর্ঘটনার সেই ছবি। বাঞ্জি জাম্পিং করার পড়েই দড়ি ছিঁড়ে তিনি সজোরে টিনের একটি চালের উপরে এসে পড়েন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই ঋষিকেশের এআইআইএমএসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় সনুর বুকে, এবং বাঁ হাতে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তিনি আপাতত সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এই ঘটনার পরেই তেহরি গাঢ়ওয়ালের জেলাশাসক নিকিতা খান্ডেলওয়াল গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গোটা এলাকায় সব ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
এই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী গোটা ঘটনা নিজের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরেই যুবককে উদ্ধার পরে ওই সংস্থার কাছে কোনও অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ছিল না। এরপরে তিনিই নিজের গাড়িতে করে ওই আহত যুবককে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনার সময় আহত যুবক প্রচণ্ড ব্যথায় প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন। তাঁর অত্যধিক রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
এই গোটা ঘটনার ভিডিও তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস আমাদের ভারতে থেকে অন্তত করা উচিত নয়। কারণ, কর্তৃপক্ষ দেখাশোনা করে না, যারা এই বিষয়ে অপারেট করেন তাঁরা কোনও মাথা ঘামান না। কোনও সুরক্ষা নেই। এই ধরনের স্পোর্টসে অংশ নেওয়া মানে জীবনের সঙ্গে জুয়া খেলা।এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেই তাঁরা ভাগ্যকে দায়ী করে।”
এই ভিডিও সামনে আসতেই, তেহরি গাঢ়ওয়াল অঞ্চলের জেলাশাসক নিকিতা খান্ডেওয়াল বলেন, “আমি গোটা বিষয়টির বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ওই সংস্থাকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে। নিরাপত্তা বিষয়ে একটি অডিটের নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়াও এই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গোটা এলাকায় এই ধরনের স্পোর্টস বন্ধ থাকবে।”
এই বিষয়ে স্থানীয় থানার আধিকারিক প্রদীপ চৌহান বলেন, “সনু এবং তাঁদের বন্ধুরা সোমবার ঋষিকেশে আসেন। এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।”
