বৈঠক শেষে বেরিয়ে ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, "সংসদে দলের রণকৌশল সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। দলনেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা অনুসরণ করেই দলের সাংসদেরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করবেন।"
জানা গিয়েছে, এই দফায় মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ত্রিমুখী আক্রমণ শানাতে চলেছে তৃণমূল। যার মধ্যে প্রথমেই থাকছে এসবিআই এবং এলআইসি নিয়ে কেন্দ্রীয় নীতির চূড়ান্ত সমালোচনা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের এক শিল্পপতির সংস্থার এলআইসি এবং এসবিআইয়ের মতো সংস্থায় বিনিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যা নিয়ে জবাবদিহি করতে হয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকেও।
advertisement
তৃণমূলের তালিকার দ্বিতীয় ইস্যু হচ্ছে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানো। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ভারতের উত্তরপূর্বের ৩ রাজ্যের ভোট মিটতেই রান্নার গ্যাসের দাম একলাফে অনেকটা টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। দলের এক সাংসদ বলেন, "কী ভাবে সরকার ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরেই রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেশের নিম্নমধ্যবিত্ত, গরিব জনতার উপর মূল্যবৃদ্ধির খাঁড়া নামিয়ে এনেছে, সেই বিষয়গুলি সংসদের ভিতরে ও বাইরে তুলে ধরা হবে।"
আরও পড়ুন: খেয়াল করেছেন! বাজার থেকে কমে যাচ্ছে পুরনো ৫ টাকার কয়েন, কেন বলুন তো?
এছাড়া, ১০০ দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকা থেকে শুরু করে মহিলা সংরক্ষণ বিল। সব কিছু নিয়েই সরব হবেন তৃণমূল সাংসদেরা। ২০১০ সালে মনমোহন সিং-এর জমানায় রাজ্যসভায় এই মহিলা সংরক্ষণ বিলটি পাশ হয়েছিল। কিন্তু, বিষয়টি নিয়ে তারপর আর কোনও পদক্ষেপই করেনি সরকার। মহিলা সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত হলে লোকসভা ও বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন মহিলা রাজনীতিকরা।