আরও পড়ুন: ‘শিবসেনার সবথেকে বড় রাজনৈতিক শত্রু বিজেপি’, বিস্ফোরক মন্তব্য শিবসেনা সাংসদের
কয়েক মাস পরেই লোকসভা নির্বাচন ৷ তার আগে এককাট্টা বিরোধী দলকে হারাকে কোনওরকম কৌশল ছাড়তেই নারাজ গেরুয়া শিবির ৷ কারণ পালঘর লোকসভা উপনির্বাচনে শিবসেনাকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি ৷ এরপরই বিজেপির বহুদিনের রাজনৈতিক সুখ দু:খের সঙ্গী শিবসেনার এনডিএ সংসর্গ ত্যাগ করার জল্পনাকে খানিকটা হলেও উস্কে দিয়েছিল ৷ আর এতেই যথেষ্ট চাপের মুখে বিজেপি ৷ এমনকী, গতকালই শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত মোদি-শাহকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শিবসেনার সবথেকে বড় রাজনৈতিক শত্রু বিজেপি ৷ তাই আর উপায় না দেখে শরিক দল হিসেবে শিবসেনাকে কাছে টানতে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ৷
advertisement
২০১৮ সালে যে চারটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ২টিই মহারাষ্ট্রের লোকসভা কেন্দ্র ৷ কিন্তু সেই দু’টির মধ্যে পালঘরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মোদি ব্রিগেডের সামনে ধরাশায়ী হয়েছে শিবসেনা ৷ এই জিতই মহারাষ্ট্রে ত্রিমুখী লড়াইয়ে নিজেদের ভিত আরও বেশি মজবুত করেছে বিজেপি ঠিকই ৷ কিন্তু এই লড়াইয়ের জেরেই শরিক দল শিবসেনার সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি ঘটবে সেকথা বিজেপি মহলেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ যার জেরেই আর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ গেরুয়া শিবির ৷ তবে, মোদি-শাহ ম্যাজিক কি আদৌ কাজ করবে শিবসেনা মহলে ? তা এখন সময়েরই অপেক্ষা ৷