গত মঙ্গলবার শেষ হল বিজেপির দুদিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। এদিন দলের নেতাদের উদ্দেশে ভোকাল টনিক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক শেষে বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস জানান, দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে দলের সম্পর্ক মজবুত করতে এই যাত্রার কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
আরও পড়ুন– নিয়োগের দাবিতে পথনাটিকা,অভিনব উপায় প্রতিবাদ উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের
advertisement
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ কর্মসূচি অনুযায়ী চলতে হবে। প্রতিটি রাজ্যকে একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতে হবে। তিনি আরও বলেছেন , এক রাজ্যকে অপর রাজ্যের ভাষা সংস্কৃতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলার উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
সামনে কঠিন লড়াই বিজেপির। ৯ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বছর দেড়েক পরেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এদিন দলের শাখা সংগঠনগুলোকে জোরদার কাজে নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলা, যুব, সংখ্যালঘু, আদিবাসী মোর্চার নেতা কর্মীদের শক্তিশালী করে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ভারতের এক নম্বর ব্যাটসম্যান নিজের বন্ধুর সঙ্গেই দিয়ে দিলেন বোনের বিয়ে!
বিজেপির কার্যনির্বাহী সভায় অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই বছর নেওয়া হয়েছে৷ সেই সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে যেমন রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সাংগঠনিক দিকের খেয়াল রাখার কথা, তেমনই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে শুরু করেছে বিজেপি৷ সেই কারণে দেশজুড়ে ১০০ লোকসভা আসন, যেখানে গেরুয়া শিবির দুর্বল, তার ৭২ হাজার বুথে শক্তি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু করতে চাইছে তারা৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ” ‘অমৃত কাল’-কে এ বার কর্তব্য কালে পরিণত করতে হবে৷ এ ভাবেই আমরা নিজের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব৷” অন্যদিকে, অমিত শাহের বক্তব্য, “২০২৪ সালে দেশে সরকার গঠন করার বিষয়ে বিজেপি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের সরকার গঠিত হবে৷” ২০১৯ সালের থেকেও বেশি ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে বিজেপি জয় পাবে বলে আশা করেছেন তিনি৷
রাজীব চক্রবর্তী