প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বারবার দাবি করেছেন, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর নতুন ভারত গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। বিজেপির শাসনকালে দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ কমেছে। এমনকী জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটেছে। যদিও এদিন রাহুল গান্ধী ঠিক উল্টো দাবি করলেন। তিনি বললেন, ২০১৪-র আগেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে হামলা চালানো হত। মধ্যপ্রদেশে ওদের শাসন ছিল। সেখানেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা হত। সেই সব প্রতিষ্ঠানে কব্জা করার চেষ্টা চলত।
advertisement
রাহুল গান্ধী বরাবরই দাবি করে এসেছেন, কংগ্রেস নির্দিষ্ট আদর্শে বিশ্বাসী দল। তাঁর দলের নির্দিষ্ট কিছু নীতি ও আদর্শ রয়েছে। যা কিনা বিজেপির নেই। রাহুল গান্ধী এদিন বলেছেন, আমি বোধ হয় প্রথম রাজনৈতিক ব্যক্তি যে পার্টির অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনের দাবি তুলেছিলাম। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রীকে এমনটা বলতে শুনিনি। কংগ্রেস নির্দিষ্ট আদর্শে বিশ্বাসী। উল্লেখ্য, গত বছর কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বলরা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে পার্টির ফুলটাইম প্রেসিডেন্টের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। পদত্যাগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের দায় কাঁধে নিয়েছিলেন তিনি।