এ দিন দিল্লিতে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে নবান্ন অভিযানকে সফল বলে দাবি করে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ৷ একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ রবিশঙ্করের কথায়, যেভাবে পুলিশ এবং তৃণমূলের বাধা উপেক্ষা করে নবান্ন অভিযান সফল হয়েছে, তার জন্য শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের নিয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রীতিমতো গর্বিত৷
advertisement
মঙ্গলবার বিজেপি-র নবান্ন অভিযানকে ফ্লপ বলে দাবি করেছিল তৃণমূল৷ পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাকর্মীদের বিনা প্ররোচনায় মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু- দিলীপরা৷ এ দিন বঙ্গ বিজেপি নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'তৃণমূলে উত্তারাধিকার নিয়ে লড়াই চলছে৷ তাই সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপি কর্মী, নেতাদের উপরে অত্যাচার করা হয়েছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে চাই, আপনি যত অত্যাচার করবেন, বিজেপি তত বাড়বে৷'
আরও পড়ুন:তৃণমূল বলছে 'ফ্লপ', সিপিএম বলছে শুধুই 'শো'! নবান্ন অভিযানের প্রাপ্তি খুঁজছে বিজেপি
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান শেষ হতে না হতেই শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের ফোন করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা৷ এ দিন বিজেপি রাজ্য নেতাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদও বলেন, 'আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ দলের সব সাংসদ, বিধায়ক, নেতা, কর্মীদের নিয়ে আমরা গর্বিত৷ যেভাবে তাঁরা পুলিশের সব বাধা উপেক্ষা করে তাঁরা লড়াই করেছেন, তাতে আমরা গর্বিত৷ আমি জয়প্রকাশ নারায়ণের সৈনিক৷ ইন্দিরা গান্ধি অনেক চেষ্টা করেও জয়প্রকাশ নারায়ণকে রুখতে পারেননি৷ আপনিও বিজেপি-কে রুতে পারবেন না৷ মনে রাখবেন, বাম-কংগ্রেস মুছে গিয়েছে, বিজেপি ৭৭-এ পৌঁছে গিয়েছে৷ তৃণমূলের অর্থ শিঁকড়ের সঙ্গে যার সম্পর্ক৷ মাটির সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ ভাবে অত্যাচার করা যায় না৷ আপনি দলের নাম বদলে ফেলুন৷'
দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে বিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতারা এর আগে দিল্লিতে ডেকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য বার বার শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারদের বার্তা দিয়েছেন৷ মঙ্গলবার তিন নেতাই মাঠে নেমেছিলেন৷ যা ইতিবাচক বলেই দেখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ শীর্ষ নেতাদের সার্টিফিকেটে বঙ্গ বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ বিবাদ পাকাপাকি ভাবে মেটে কি না, সেটাই এখন দেখার৷
যদিও রবিশঙ্কর প্রসাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ তাঁদের পাল্টা কটাক্ষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব হারানোর পর দলে নিজের নম্বর বাড়াতেই এসব বলছেন রবিশঙ্কর৷