গতবছরের টপারদুর্নীতির জের এবছরের বিহার বোর্ড পরীক্ষায় পড়বে তা আগে থেকেই অনুমান করা হয়েছিল ৷ কিন্তু তার ফল যে এমন তা অবশ্য এতটা কেউই আশা করেনি ৷ রেজাল্ট বেরনোর পর থেকেই পড়ুয়ারা, অভিভাবকরা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা এর বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৷
এর প্রতিবাদ জানিয়ে পটনার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পরীক্ষার্থীরা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের উপর লাঠিচার্জও করে পুলিশ ৷ এর আগে ১৯৯৭ সালে মাত্র ১৪ শতাংশ পড়ুয়ারা পাস করেছিল ৷ তার পরে এটাই বিহার বোর্ডের সবচেয়ে খারাপ ফল ৷
advertisement
বিহার স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘আগের বছরের দুর্নীতিকাণ্ডের পর পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর ছলাম ৷ ফর্ম ফিলআপ থেকে পরীক্ষা, ও খাতা দেখা সমস্ত বিষয় কড়া নজর রাখা হয়েছিল ৷ কোনওরকম দুর্নীতি এড়াতে উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ৷ পরীক্ষার পেপারে বার কোড ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ ফ্রি ও ফেয়ার পরীক্ষা করার জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বোর্ডের তরফে ৷’
এবছর বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য বিভাগ মিলিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়েছিল মোট ১২৪০১৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রী ৷ এদের মধ্যে ৭৯৪৬২২ ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে ৷ অথার্ৎ ৬৪.০৭ শতাংশ পড়ুয়া দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ফেল করেছেন ৷
জানা গিয়েছে, এবার দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মিডল স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ৷ কারণ সেই সময় ক্লাস ১২- এ শিক্ষক শিক্ষিকারা ধর্মঘটে ছিলেন ৷ এরপর থেকেই রেজাল্ট নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে ৷ প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে ৷ এমনকী আরও একবার প্রশ্ন পত্র দেখার দাবি জানানো হয়েছে ৷
বিহার মাধ্যমিক বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন তার মতে অষ্টম ক্লাসের শিক্ষক শিক্ষিকা ঠিক ভাবে দ্বাদশ শ্রেণীর উত্তরপত্র দেখতে পারেননি ৷