মোট ১২২৩টি এলএইচবি এসি কোচে এফএসডিএস লাগানো হয়েছে, যেখানে ১৪৮টি পাওয়ার কার এবং ৭৯টি প্যান্ট্রি কার এফডিএসএস দিয়ে সজ্জিত। এছাড়াও, ৯৫৬টি এসি কোচে অ্যারোসল-ভিত্তিক অগ্নি সনাক্তকরণ প্রণালীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অগ্নি সনাক্তকরণ প্রণালী ট্রেনের কোচগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করে, যাতে সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সনাক্ত করা যায় এবং সময়মত হস্তক্ষেপের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে এলার্ম বাজিয়ে সতর্কতা জারি করা যায়।
advertisement
শীঘ্র ও সঠিক শনাক্তকরণ কেবল আতঙ্ক এবং আঘাত প্রতিরোধেই সাহায্য করে না বরং জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিও কম করে এবং ট্রেন পরিষেবায় ব্যাঘাত হ্রাস করে। অগ্নি সুরক্ষা আরও মজবুতকরার জন্য, সমস্ত পাওয়ার কার, প্যান্ট্রি কার এবং এসি কোচগুলিকে পর্যায়ক্রমে উপযুক্ত অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে। রেল সুরক্ষা উন্নত করা একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি বাড়ানোর জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
নিয়মিত সুরক্ষা অভিযানের পাশাপাশি, রেলওয়ে পরিকাঠামোতে পিরিয়ডিক সেফটি অডিটস এবং নিরীক্ষণও করা হয়, যাতে সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সুরক্ষা পদ্ধতি এবং পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করা যায়। এই মূল্যায়নগুলি যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ এবং সুরক্ষিতট্রেন চলাচল নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সহায়তা করে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।