TRENDING:

RCB Stampede: ‘ওর শরীরটাকে কেটো না,’ অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে কাতর আর্জি জানাল বাবা! বেঙ্গালুরুর এই দৃশ্য চোখে দেখা যায় না

Last Updated:

বন্ধুদের সঙ্গে হুজুগে মেতে উঠেই বাবাকে না জানিয়ে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ভূমিক৷ সেখানেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে৷ পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করে ভূমিককে৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেঙ্গালুরু: চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেছে৷ চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরেটা আজ শান্ত৷ ধূ ধূ করা একটা শূন্যতা জমাট বেঁধে রয়েছে গোটা এলাকাটা জুড়ে৷ অনেকেই ভাবছেন, ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে জলজ্যান্ত বেঁচে ছিল ১১টা প্রাণ৷ কেউ বাবাকে না বলেই বন্ধুদের সঙ্গে চলে এসেছিল এখানে, কেউ অফিসের বসকে বলে বেরিয়ে পড়েছিল শুধু বিরাট কোহলিকে একঝলক দেখবে বলে৷ তাদের আর ঘরে ফেরা হয়নি৷ যেমন, প্রিয় টিমের ভিক্ট্রি প্যারেড দেখতে এসে ঘরে ফেরেনি ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ভূমিক৷
News18
News18
advertisement

কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বুধবারের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরে বারবার বুকফাটা কান্না শোনা গিয়েছে ৷ যেমন ছেলের খবর পেয়ে বোরিং হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন ভূমিকের বাবা৷

২২ বছর বয়স৷ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র৷ আরসিবি-র একনিষ্ঠ ভক্ত৷ সেই ভূমিকের বাবা এদিন আর্ত চিৎকার করতে করতে পুলিশকে শুধু বারবার একটাই কথা বলতে থাকলেন, ‘‘ওর শরীরটা কেটো না৷ পোস্ট মর্টেম কোরো না৷ আমাকে অন্তত ওর দেহটা ফিরিয়ে দাও৷’’

advertisement

আরও পড়ুন: ‘ফ্রি পাস’-র লোভেই কি হুড়মুড়িয়ে এসেছিল মানুষ! জানেন? কর্ণাটকে কেন ভিড় সামলাতে পারেনি পুলিশ

তিনি চাননি ২২ বছর ধরে পরম মমতায় যে শরীর-মনটাকে তিনি লালনপালন করেছেন, তাকে কাটাছেঁড়া করা হোক৷ বিলাপ করতে করতে ভূমিকের বাবা বলতে থাকেন, ‘‘ একটা ঘণ্টাও ওকে ছেড়ে থাকিনি৷ আমার ওই একটাই ছেলে৷ আমি ওকে ২২ বছর ধরে মানুষ করেছি৷ এখন এই আপনাদের জন্য ওকে রাস্তায় মরতে হল৷ আমি জানতাম না ও এখানে এসেছে৷ আমায় প্লিজ আমার ছেলের দেহটা দিয়ে দিন৷ যা হয়েছে হয়েছে৷’’

advertisement

বন্ধুদের সঙ্গে হুজুগে মেতে উঠেই বাবাকে না জানিয়ে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ভূমিক৷ সেখানেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে৷ পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করে ভূমিককে৷

আরও পড়ুন : তিনজন কিশোর, সবেচেয়ে ছোট যে তার বয়স ১৩! কর্ণাটকে ৩রা জুনের চিঠি ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য

সমবেদনা জানাতে ভূমিকের বাড়িতে যাওয়ার কথা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রীর৷ ভূমিকের বাবা শোকের ঘোরে সার কথাটাই বলে ফেললেন, ‘‘শুনছি মুখ্যমন্ত্রী-উপ মুখ্যমন্ত্রী আসছে৷ কিন্তু কেউ তো আর ওকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না৷’’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
RCB Stampede: ‘ওর শরীরটাকে কেটো না,’ অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে কাতর আর্জি জানাল বাবা! বেঙ্গালুরুর এই দৃশ্য চোখে দেখা যায় না
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল