কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বুধবারের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরে বারবার বুকফাটা কান্না শোনা গিয়েছে ৷ যেমন ছেলের খবর পেয়ে বোরিং হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন ভূমিকের বাবা৷
২২ বছর বয়স৷ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র৷ আরসিবি-র একনিষ্ঠ ভক্ত৷ সেই ভূমিকের বাবা এদিন আর্ত চিৎকার করতে করতে পুলিশকে শুধু বারবার একটাই কথা বলতে থাকলেন, ‘‘ওর শরীরটা কেটো না৷ পোস্ট মর্টেম কোরো না৷ আমাকে অন্তত ওর দেহটা ফিরিয়ে দাও৷’’
advertisement
তিনি চাননি ২২ বছর ধরে পরম মমতায় যে শরীর-মনটাকে তিনি লালনপালন করেছেন, তাকে কাটাছেঁড়া করা হোক৷ বিলাপ করতে করতে ভূমিকের বাবা বলতে থাকেন, ‘‘ একটা ঘণ্টাও ওকে ছেড়ে থাকিনি৷ আমার ওই একটাই ছেলে৷ আমি ওকে ২২ বছর ধরে মানুষ করেছি৷ এখন এই আপনাদের জন্য ওকে রাস্তায় মরতে হল৷ আমি জানতাম না ও এখানে এসেছে৷ আমায় প্লিজ আমার ছেলের দেহটা দিয়ে দিন৷ যা হয়েছে হয়েছে৷’’
বন্ধুদের সঙ্গে হুজুগে মেতে উঠেই বাবাকে না জানিয়ে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ভূমিক৷ সেখানেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে৷ পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করে ভূমিককে৷
আরও পড়ুন : তিনজন কিশোর, সবেচেয়ে ছোট যে তার বয়স ১৩! কর্ণাটকে ৩রা জুনের চিঠি ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য
সমবেদনা জানাতে ভূমিকের বাড়িতে যাওয়ার কথা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রীর৷ ভূমিকের বাবা শোকের ঘোরে সার কথাটাই বলে ফেললেন, ‘‘শুনছি মুখ্যমন্ত্রী-উপ মুখ্যমন্ত্রী আসছে৷ কিন্তু কেউ তো আর ওকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না৷’’