গত শুক্রবার উত্তর বেঙ্গালুরুর নাগাওয়াড়ার নির্জন রাস্তায় এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ সামনে আসে ৷ অভিযোগে বলা হয়, এক ব্যক্তি রাস্তার নির্জনতার ফায়দা তুলে তাঁকে জাপটে ধরে ৷ জোর করে তাঁর জিভ কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় ৷ তদন্তে নেমে বাসস্ট্যান্ডের কাছে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সন্দেহ জাগে পুলিশের ৷
পরে তদন্তকারীরা পুনরায় জেরা করলে ‘নির্যাতিতা’ জানান, তিনি নিজেই জিভ কামড়ে ফেলেছিলেন ৷ মেয়েটির বয়ানে আরও কিছু অসঙ্গতি দেখে তদন্তকারীরা ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যান ৷
advertisement
মেয়েটির শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে সবথেকে বেশি সরব হয়েছিলেন তাঁর জামাইবাবু ৷ ৩৪ বছরের ইরশাদ খানকে সন্দেহের ভিত্তিতে আটক করে পুলিশ ৷ জেরায় ইরশাদ সমস্ত অপরাধ কবুল করে ৷ সে পুলিশকে জানায়, শ্যালিকাকে বিয়ে করার জন্যই সে এই শ্লীলতাহানির মিথ্যে গল্প ফেঁদেছিল ৷
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শ্যালিকার সঙ্গে বহুদিন ধরেই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন পেশায় সেলস এক্সজিকিউটিভ ইশরাদ ৷ বর্ষবরণে বেঙ্গালুরুতে গণ শ্লীলতাহানির ঘটনায় তাঁর মাথায় একটি বুদ্ধি খেলে যায় ৷ শ্যালিকাকে বিয়ে করার জন্য এই শ্লীলতাহানির নাটক ফাঁদে সে ৷ ইরশাদ জানত, সোজা পথে আত্মীয়স্বজনরা কখনই তাদের বিয়ে মেনে নেবে না ৷ তাই মেয়েটির কোনওভাবে বদনাম ছড়িয়ে দেওয়া গেলে পরে নিরুপায় হয়ে পরিবার তাঁর সঙ্গেই শ্যালিকার বিয়ে দেবে ৷
যেমন ভাবা তেমন কাজ ৷ কিন্তু পুলিশি তদন্তে আসল ঘটনা ফাঁস হয়ে যায় ৷ মিথ্যা অভিযোগ করার অপরাধে ইরশাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷