বর্তমানে গোটা বাংলার অলিতে-গলিতে চলছে এসআইআর নিয়ে আলোচনা। যদিও শুধু বাংলা নয়, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তেই এখন এটি হয়ে উঠেছে চর্চার বিষয়। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এই ইস্যু নিয়ে লাগাতার সুর চড়িয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা। শুধু তাই নয়, গত ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজন পড়লে দলের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করা হতে পারে। পাশাপাশি, তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, একজনের নামও ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে দেবেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যই বলেছে, তাই রাজ্যকে এই রুল মানতেই হবে!’ ডিএ মামলায় কড়া মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের! রাজ্যের দাবি, অভিযোগ মিথ্যা
কীভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে এসআইআর ইস্যুতে পাল্টা দেওয়া যায়, এবার সেই সংক্রান্ত যাবতীয় ছক কষে নেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে রাজধানীতে সুকান্ত মজুমদারের বাসভবনে বৈঠকে বসেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। জানা গিয়েছে, কী কর্মসূচি নেওয়া হবে বা কীভাবে এগোনো যেতে পারে, তা ঠিক করা হয়েছে সুনীল বানসালের নেতৃত্বে।এ
খানেই শেষ নয়, আরও জানা গিয়েছে, কীভাবে দলীয় সাংসদরা নিজেদের লোকসভা এলাকায় কাজ করবেন, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি সংসদে ঘাসফুল শিবিরের আক্রমণকে কাউন্টার করার স্ট্র্যাটেজি নিয়েও আলোচনা করা হয়। এছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলার বিষয়টি কীভাবে সংসদে তোলা যেতে পারে, তা নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে বলে খবর। এবার দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত কোন পথে হাঁটে দল। তৃণমূলকে পাল্টা চাপে ফেলতে কী ছক তাদের? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে ইস্যু ভিত্তিক লড়াই দিতে বিজেপি কতখানি সক্ষম হয় সেটা এ মাসেই স্পষ্ট হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
