অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ এবং সাংবাদিক এন রাম মিলিতভাবে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন একই ইস্যুতে। রবিবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের কারিয়াপ্পা গ্রাউন্ডে এনসিসি-র একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন "দেশকে টুকরো টুকরো করার বাহানা খোঁজা হচ্ছে। ভারতবাসীর সন্তানদের মধ্যে ফাটল তৈরির চেষ্টা চলছে।" এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এত চেষ্টা সত্ত্বেও ভারতবাসীর মধ্যে এভাবে ভেদাভেদ তৈরি করা যাবে না। মোদি বলেন, "একমাত্র ঐক্যের মন্ত্রের বলেই ভারত বলিয়ান হবে।"
advertisement
গত সপ্তাহে রাজস্থান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখার 'অপরাধে' ১১ জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসের বাইরে রেখে আসা হয়। নিরাপত্তা কর্মীদের দাবি, সাসপেনশন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকতে পারবেন না পড়ুয়ারা। রাজস্থান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সবাইকে নিজেদের মোবাইল ফোনে এই তথ্যচিত্র দেখার আহ্বান জানানো হয়। সেদিন রাতেই জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে এভিবিপি পড়ুয়ারা ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন করা পড়ুয়াদের দাবি, কোনও পর্দার মাধ্যমে তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন করা হয়নি। সবাইকে নিজেদের মোবাইলে তথ্যচিত্র দেখার আহ্বান করা হয়েছে।
বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্য়ালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পরে অশান্তি ছড়ায় বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়েও। বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর জন্য যথারীতি কোনও অনুমতি দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নির্দেশিকা না মানলে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যদিও তাতেও পিছু হঠতে নারাজ ছিলেন পড়ুয়ারা। শেষে নিজেদের ল্যাপটপেই তথ্যচিত্র দেখেন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। তথ্যচিত্র দেখানোর প্রতিবাদে প্রবল বিক্ষোভ দেখান এভিবিপি এবং বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী সমর্থকরা। তবে জমায়েত নিষিদ্ধ হওয়ায় সেই সমস্ত বিক্ষোভকারীদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়।
রাজীব চক্রবর্তী