গ্রেফতার হওয়া রেলকর্মীরা হলেন, অরুণ কুমার মহন্ত (সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়র সিগন্যালস, বালেশ্বর), মহম্মদ আমির খান (সেকশন ইঞ্জিনিয়ার, সোরো) এবং পাপ্পু কুমার (টেকনিশিয়ান, বালেশ্বর)৷ এই তিনজনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ রয়েছে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও৷
আরও পড়ুন: বুথে বুথে পৌঁছে গেছেন ভোটকর্মীরা, কিন্তু সন্ধে নামলেই তো ‘তাদের’ উপদ্রব! অগত্যা…
advertisement
সূত্রের খবর, এই তিনজন রেলকর্মীর কাজেই গাফিলতি পাওয়া গিয়েছে৷ সিবিআইয়ের দাবি, এঁরা জানতেন, তাঁদের এই গাফিলতির জন্য দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷ ঘটনার পরে এই তিনজন তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ৷
উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘ভুল সিগন্যাল’-এর জন্যই মূলত বালেশ্বরের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল৷ তাছাড়া, সিগন্যালিং এবং টেলি কমিউনিকেশন (এস অ্যান্ড টি) দফতরে একাধিক ক্ষেত্রে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে৷ যদি আগেই সমস্যার বিষয়ে রেড ফ্ল্যাগ দেওয়া যেত, তাহলে হয়ত দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা৷
এর আগে কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) রেলওয়ে বোর্ডকে যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তাতেও উল্লেখ ছিল, বাহানাগা বাজার যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখানকার দু’টি সমান্তরাল ট্র্যাকে যে বারবার স্যুইচের সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তা যদি আগে থেকে জানানো হত, তাহলে রেলের এস অ্যান্ড টি দফতরের কর্মীরা তা সমাধানের ব্যবস্থা করতে পারতেন৷ কিন্তু, তেমনটা করা হয়নি৷
গত ২ জুন করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে মোট ২ হাজার ২৯৬ জন যাত্রী সফর করছিলেন৷ সন্ধে পৌনে ৭ টা নাগাদ ঘটে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা৷ মৃত্যু হয় কমপক্ষে ২৯১ জনের৷ এখনও বহু জনের খোঁজ মেলেনি৷ বহু দেহ শনাক্ত হয়নি৷