ত্রিপুরার গোমতী জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরা সফরে এসেছেন। এতে গোটা রাজ্য খুশি’। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ৪৫২টি আবেদনের মধ্যে ৩৫০টি গৃহীত হয়েছে। গোমতী জেলার কাকরাবন শালগড়ার মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার পিএম আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধাভোগী। তিনি বলেন, ‘আমি পিএম আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি পেয়েছি। শুধু তাই নয়, একটি শৌচাগার, কিষাণ সম্মান নিধি এবং জন ধন যোজনার সুবিধাও পাচ্ছি’।
advertisement
রবিবার ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে ৬,৮০০ কোটি টাকার বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে ত্রিপুরা পেয়েছে ৪,৩৫০ কোটি টাকার প্রকল্প। 'গৃহপ্রবেশ' কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের জন্য ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা - শহর এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা - গ্রামীণ৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘গত ৮ বছরে উত্তর পূর্বে বেশ কয়েকটি ন্যাশনাল হাইওয়ে তৈরি হয়েছে। গ্রামীণ এলাকাতে রাস্তা তৈরির উপরেও বিশেষ জোর দিয়েছে সরকার’। সঙ্গে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার উন্নয়নে লাগাতার কাজ করছে। গুজরাত নির্বাচনে বিজেপির জয়ের কথা তুলে ধরে মোদি বলেন, ‘আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রথম পছন্দ বিজেপি। সাম্প্রতিক গুজরাত নির্বাচনে, বিজেপি উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত ২৭টি আসনের মধ্যে ২৪টিতে জয়লাভ করেছে। আমরা আদিবাসী সম্প্রদায় সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি’। এদিন মেঘালয়ের ২৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সরকার গত সাড়ে আট বছরে এ অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। উত্তর পূর্বের উন্নয়ন খাতে ২০১৪ সালে ২ লাখ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এখন ৭ লাখ কোটি টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ বরাদ্দ চার গুণ বাড়ানো হয়েছে।
স্বচ্ছতাকে গণ আন্দোলনে পরিণত করার জন্য ত্রিপুরাবাসীকে অভিন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরা ছোট রাজ্য। কিন্তু পরিচ্ছন্ন। এ জন্য ত্রিপুরাবাসীকে অভিন্দন’। এদিন একটি নতুন ডেন্টাল কলেজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।