গুণে গুণে বিরোধীদের অভিযোগ মনে করানো। গুনে গুণে অভিযোগের জবাব। লোকসভায় দাঁড়িয়ে নরমে - গরমে বার্তা অমিত শাহের। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, দিল্লি হিংসার পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। উত্তরপ্রদেশ থেকে ঢুকেছিল ৩০০ দুষ্কৃতী। টাকা ছড়িয়ে হিংসায় মদত। ১১০০ দুষ্কৃতী সনাক্ত। দিল্লি হিংসায় একজনকেও ছাড়া হবে না। লোকসভায় দাঁড়িয়ে হুঙ্কার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তিনি আরও বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হিংসার তদন্ত ৷ দুষ্কৃতীদের খুঁজতে ফেস আইডেন্টিফিকেশন ৷ দিল্লি হিংসায় আজ পর্যন্ত ৭০০ FIR হয়েছে ৷ দিল্লিতে ৬০০ শান্তি বৈঠক হয়েছে ৷ দিল্লি হিংসায় আজ পর্যন্ত ২৬৪৭ ধৃত ৷ উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছিল ৩০০ দুষ্কৃতী ৷ দিল্লি হিংসায় ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের ৷ ষড়যন্ত্র করতে ব্যবহার করা হয়েছে সোশাল মিডিয়া ৷ ৬০টি সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ ২২ তারিখ সোশাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টগুলি শুধু হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই খোলা হয়েছিল ৷ ২৬ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয় অ্যাকাউন্টগুলি ৷ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে পার পাবেন না দোষীরা৷ ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা হবেই ৷’
advertisement
অমিত শাহের কাছে কেন সফল দিল্লি পুলিশ? তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রতিকুল পরিস্থিতির কথা টেনে আনেন অমিত শাহ। বলেন, পুলিশকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয়। উত্তর-পূর্ব দিল্লির ঘিঞ্জি এলাকায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ, দমকলের পক্ষে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয়। দিল্লিতে ১ কোটি ৭০ লক্ষ জনসংখ্যা। ২০ লক্ষের বসতির মধ্যেই সংঘর্ষ আটকে রাখতে সফল পুলিশ ৷’ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সংঘর্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাটাও বড় সাফল্য বলে দাবি অমিত শাহের।
দিল্লি হিংসায় আইএস যোগের অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ দিল্লি হিংসার আলোচনার জবাবি ভাষণে বিরোধীদের নিশানা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাব, ‘আইএসের সঙ্গে যুক্ত ২ ব্যক্তি ধৃত ৷ ধৃতদের জেরা করছে দিল্লি পুলিশ ৷’
দিল্লিতে সংঘর্ষের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। নিজের ভূমিকা নিয়ে অমিতের সাফাই, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল শান্তি ফেরানো ৷ ট্রাম্পের কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল ৷
তাই আমি ওখানে উপস্থিত ছিলাম ৷ আমি তাজমহলে যাইনি ৷ দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি ৷ হিংসা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৈঠক করি ৷ ডোভালের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক চলে ৷ আমার নির্দেশেই উপদ্রুত এলাকায় যান ডোভাল ৷’