তড়ঘড়ি বৈঠকের পর পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এদিন ঘোষণা করেন, গ্রাহক অথবা পেট্রোল পাম্প আউটলেট কাউকেই ডিজিট্যাল ট্রান্সজাকশনের জন্য কোনও অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না ৷ একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, কার্ডে তেল কিনতে গেলে যে বাড়তি চার্জ দিতে হয় তা বহন করার জন্য ব্যাঙ্ক এবং অয়েল ফার্মগুলির সঙ্গে কথা বলছে সরকার ৷
advertisement
প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ডিজিটাল লেনদেন করুন। এর জন্য পেট্রোল পাম্পে কার্ড ব্যবহার করলে অতিরিক্ত ছাড়ের ঘোষণাও করেন অর্থমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার যখন ক্যাশলেস লেনদেনে জোর দেওয়ার কথা বলছে, ঠিক তখনই বড় ধাক্কা এল পেট্রোল পাম্প মালিকদের সংগঠন থেকে।
রবিবার মাঝরাত থেকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে অল ইন্ডিয়া পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন ৷ কার্ড প্রতি লেনদেনে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক পেট্রোল পাম্পগুলির উপরে ১ শতাংশ ট্রানজাকশন ফি চাপায় ৷ ট্রানজাকশন ফি-এর কারণে লাভের অঙ্কে কোপ পড়ছে বলে দাবি পাম্প মালিক সংগঠনগুলির ৷ ট্রানজাকশন ফি প্রত্যাহার না করলে কার্ডে পেমেন্ট বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় পাম্প মালিক সংগঠনগুলি ৷
পাম্প মালিকদের হুঁশিয়ারিতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। এরপরই নড়েচড়ে বসে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। রবিবার সন্ধেয় তড়িঘড়ি যোগাযোগ করা হয় অল ইন্ডিয়া পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে। রবিবার রাতে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার আর্জি জানান পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তারপরই আসে চার্জ মকুবের ঘোষণা ৷