গত ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম কেরালায় ১০০-রও বেশি মানুষ বন্যায় নিখোঁজ৷ ত্রাণ শিবিরগুলিতে তিল ধারণের জায়গা নেই৷ ৩৫ হাজারের বেশি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে৷ কেরালা সরকার জানিয়েছে, ৮টি জেলায় ৮০টি জায়গায় ধসে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির কেন্দ্র ওয়াইনাডের৷ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ৷ তাঁদের ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে বন্যায়৷
advertisement
ওয়াইনাড ও মালাপ্পুরমে বহু মানুষ ধসের স্তূপে চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে বিপর্য মোকাবিলা বাহিনী৷ বৃষ্টির তীব্রতা এতটাই যে, উদ্ধারকাজ চালানো যাচ্ছে না৷ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো শনিবার ওয়াইনাডে বনসুরসাগর বাঁধের জল ছাড়া হয়েছে দুপুর ৩টেয়৷ ফলে আরও বিধ্বংসী বন্যার প্রমাদ গুনছে কেরালা৷ ১৪টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করে দিয়েছে কেরালার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷ লাল সতর্কতা রয়েছে ওয়াইনাড, কন্নুর, কাসারগড় জেলায়৷ একমাত্র বন্যার আঁচ এড়াতে পেরেছে তিরুঅনন্তপুরমও কোল্লাম৷
দক্ষিণ রেলওয়ে প্রচুর ট্রেন বাতিল করে দিয়েছে৷ শুক্রবার থেকে বন্ধ কোচি বিমানবন্দর৷ কেরালার প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটকেরও অবস্থা শোচনীয়৷ ইতিমধ্যেই ২৪ জন মারা গিয়েছেন বন্যায়৷ গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বন্যার মোকাবিলা করছে কর্নাটকও৷ ২ লক্ষ মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে৷ চলতি সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২৮৷
