সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার পর, প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে ধন্যবাদ জানান সব দেশকে যারা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। তিনি জানিয়েছেন যে, ভারত ভবিষ্যতে এ ধরণের মহামারী মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। এই মর্মেই চিনি ফের বলেন 'এক পৃথিবী, একটি স্বাস্থ্য'।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে মহামারী রোধে বিশ্ব ঐক্য প্রয়োজন (Unity in Pandemic)। তিনি ভারতে ভ্যাকসিন পরিচালনা (Vaccine drive) ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সরঞ্জামগুলির সফল ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে সমর্থনও করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউটিওতে (WTO) ভ্যাকসিন পেটেন্টস ছাড়ের জন্য জি--এর সমর্থন চেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলি এটি সমর্থন করেছিল। ভ্যাকসিনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালগুলির (Vaccine Raw materials) সরবরাহ আরও সুবিধাজনক করার উপর আরও জোর দিয়েছেন৷
advertisement
মোদির বক্তব্যের সমর্থন করেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল (German Chancellor Angela Merkel)৷ জি-7 সম্মেলনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ভারতকে ভ্যাকসিনের কাঁচামাল সরবরাহের জন্য আবেদন করেন।
এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমন্ত্রণে ডিজিটাল মাধ্যমের মাধ্যমে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটেন এই শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে৷ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে G-7 সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। G-7 এর মধ্যে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বারের মতো G-7 অংশ নিয়েছেন। ২০১৯ সালে, ফ্রান্সের সভাপতিত্বে জি -৭ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনের "জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য এবং মহাসাগর এবং ডিজিটাল রূপান্তর" সম্পর্কিত অধিবেশনগুলিতে অংশ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের মূল বিষয়টি "উন্নত পুনর্নির্মাণ"৷
গত মাসে বিদেশমন্ত্রকের পক্ষে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, দেশের করোনভাইরাস বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিতে ব্রিটেন যেতে পারবেন না মোদি। গত মাসে জি-৭ বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লন্ডন সফর করেছিলেন। তবে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের দু'জন সদস্য কোভিড -১৯ সংক্রমিত হওয়ার পরে তিনি নিজেও সম্মেলনে অংশ নিতে পারেননি। তিনি ডিজিটাল মাধ্যমে কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলেন।