দিনভর চুড়ান্ত নাটক। তাতেও অবশ্য মিটল না তামিলভূমের সঙ্কট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রিত্বের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছে চিন্নাম্মার। তাতে অবশ্য এআইএডিএমকে-র রাশ ছাড়তে নারাজ শশীকলা নটরাজন। এদিন
রিংমাস্টার শশী?
- সর্বোচ্চ আদালতের রায় ঘোষণার পরই গোল্ডেন বে রিসর্টে বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন শশীকলা
- বৈঠকেই দল থেকে বহিষ্কার করেন ও পনীরসেলভম সহ ২০ জনকে
advertisement
- এআইডিএমকে-র পরিষদীয় দলনেতার পদে বসান অনুগত ই কে পালানিস্বামীকে
- চিন্নাম্মার নির্দেশেই রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করেন পালানিস্বামী
- ১২৪ বিধায়ককের সই-সহ চিঠি জমা দিয়ে দ্রুত সরকার গঠনের দাবি জানান
পালানিস্বামীকে চেন্নাইয়ের মসনদে বসিয়েই ক্ষমতার রাশ হাতে রাখতে চান চিন্নাম্মা। বসে নেই পনীরসেলভম শিবিরও। শশীকলার কারাবাস ঘোষণা হতেই চেন্নাই সহ গোটা রাজ্যে উল্লাসে ফেটে পড়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থকরা।
ওপিএস-এর স্ট্র্যাটেজি - তামিলভূমের মসনদে বসতে দলের ১৩৪ বিধায়কের মধ্যে ১১৭ জনের সমর্থন চাই পালানিস্বামীর। ওপিএস শিবিরের হাতে রয়েছে ১১ বিধায়কের সমর্থন। আর ৭ বিধায়ককে দলে টানতে পারলেই শশীকলার ছক ভেস্তে দেবেন পনীরসেলভম
সেই লক্ষ্যেই এদিন ওপিএস শিবিরে নাম লেখান জয়ললিতার ভাইজি দীপা জয়কুমার। তাঁকে নিয়েই মারিনা বিচে আম্মার স্মৃতিসৌধে গিয়ে আশীর্বাদ নেন পনীরসেলভম। আপাতত ভাইজিকে সামনে রেখেই আম্মার স্মৃতি উষ্কে দিতে চান ওপিএস। অ্যাটর্নি জেনারেলের সুপারিশে, চলতি সপ্তাহেই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকতে পারেন রাজ্যপাল। সেখানে কার জয় হবে, মঙ্গলবারের পর তা আরও অস্পষ্ট।