টুইটারে ভিডিয়োর স্ক্রিনশট শেয়ার করে ৫ যুবকের ছবি দিয়ে অসম পুলিশ লিখেছে, ‘একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় এই পাঁচ জনকে এক তরুণীর উপর অত্যাচার করতে দেখা গিয়েছে। কবে কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে যাঁরা এদের খোঁজ দিতে পারবেন, বা এই ঘটনাটি সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারবেন, তাদের মোটা অঙ্কের পুরস্কার দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের ধরতে সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে এসে নিগৃহীতা যাতে দ্রুত বিচার পান সেই বার্তাও দেয় অসম পুলিশ।
advertisement
ঘটনাটি নিয়ে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। তিনি অবশ্য ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে ৪ যুবক এবং ১ জন মহিলার নাম করেছেন। লিখেছেন, ‘উত্তর-পূর্বের এক তরুণীকে নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৪ যুবক এবং ১ জন মহিলা। শয়তানদের ধরতে সবরকম চেষ্টা চলছে’।
ভিডিয়োটি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশ কমিশনার রবিন হিবুও। জাতীয় স্তরের কিছু সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমরাও ওই ৫ যুবককে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। পুলিশ ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে।’’
নেট মাধ্য়মে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োটিতে অত্যাচারিত তরুণী উত্তরপূর্ব ভারতেরই বাসিন্দা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে হিবু জানিয়েছেন, এর সঙ্গে যোধপুরে আত্মঘাতী নাগাল্যান্ডের যুবতী লোভিকালি সুমির কোনও সম্পর্ক নেই। ২৪ বছরের ওই যুবতীর আত্মহত্যা নিয়ে সম্প্রতিই বিতর্ক তৈরি হয়েছে যোধপুরে। হিবু জানিয়েছেন, ভিডিয়োর তরুণী সুমি নন।