আজ, শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অবশ্য দাবি, ‘‘শান্ত হচ্ছে দিল্লির পরিস্থিতি ৷ গুজবে কান দেবেন না ৷ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে গুজব ছড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা ৷ শহরের ২০৩টি থানার মধ্যে ১২টি-তে দাঙ্গা হয়েছে ৷ বাকি দিল্লিতে সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রয়েছে ৷ গত ৩৬ ঘণ্টায় কোনও বড় গোলমাল নেই ৷’’
পাশাপাশি দিল্লিতে শিথিল হয়েছে ১৪৪ ধারা ৷ ১০ ঘণ্টার জন্য শিথিল ১৪৪ ধারা ৷ মির্জাপুর, গোকুলপুরীতে পুলিশি টহল চলছে ৷ ঘটনাস্থলে পুলিশের পদস্থ কর্তারা ৷ দাঁড়িয়ে থেকে খোলা হচ্ছে দোকান ৷ তারা কথা বলছেন এলাকাবাসীর সঙ্গে ৷ হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৯ ৷
advertisement
বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক কপিল মিশ্র। অভিযোগ, তাঁর উস্কানি, হুমকিতেই উত্তর পূর্ব দিল্লিতে অশান্তির আগুনে ঘি পড়ে। তিনি বলেছিলেন, ‘সিএএ বিরোধীরা চায় দিল্লিতে আগুন জ্বলতে থাকুক। ডিসিপি সাহেব, ট্রাম্পের যাওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তিতে থাকব। তারপরে আমপনার কথাও শুনব না।’
রবিবার কপিল মিশ্রের হুমকি। রবিবার থেকে দিল্লিতে আগুন। চার দিন পরে, সেই কপিল মিশ্রেই ফের আসরে। এবার না কি তাঁর শান্তি মিছিল।পথে নেমে নিজেকে নির্দোষও দাবি করলেন বিজেপি নেতা। দিল্লির অশান্তি ঘিরে দেশ উত্তাল। গরম জাতীয় রাজনীতিও। চলছে দায় চাপানোর খেলা।
কোমর বেঁধে আসরে কংগ্রেসও। বৃহস্পতিবার সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেস নেতারা রাষ্ট্রপতির কাছে যান। দাবি করেন দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সুর আরও চড়িয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে সনিয়ার দাবিমোদি সরকারকে রাজধর্ম পালন করতে বলুন।
দেশবাসীর কাছে এই রাজনৈতিক তরজা নতুন কিছু নয়। তবে সাধারণ মানুষের সবার আগে এখন একটাই দাবি। শান্তি ফিরুক দিল্লিতে।