TRENDING:

দুর্ভাগ্য, ভারতীয় পুরুষদের সমর্থনে পারিবারিক হিংসা আইন নেই! মন্তব্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের

Last Updated:

বিচারপতি বৈদ্যনাথন নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে বলেছেন যে বিবাহ আদতে একটি সংস্কার। কিন্তু এই কথা এখন আর বলা চলে না।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#চেন্নাই: ভারতে সব চেয়ে বেশি যে নিগ্রহের শিকার হন মহিলারাই, সে কথা অস্বীকার করা যায় না। আবার এর উল্টো পিঠেও রয়েছে এমন দিক যেখানে বহু পুরুষকে নীরবে পারিবারিক হিংসা দিনের পর দিন সহ্য করে যেতে হয়। এই দুইয়ের মধ্যেই ভারসাম্য সাধন প্রয়োজন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি দেশের আইন, সম্প্রতি এই বিষয়টিকেই পুরুষদের দুর্ভাগ্য বলে মন্তব্য করল মাদ্রাজ হাই কোর্ট।
advertisement

তবে মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন (S Vaidyanathan) একেবারে অপ্রাসঙ্গিক কারণে এ হেন মন্তব্য করেননি। ২০১৫ সাল থেকে চলা মামলায় ক্রমাগত কোণঠাসা হচ্ছিলেন চেন্নাইয়ের অ্যানিমাল হাজব্যান্ড্রি অ্যান্ড ভেটেরিনারি সার্ভিসের অফিসার ড. পি শশীকুমার (Dr. P Sasikumar)। স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসার অভিযোগ আনলে অধিকর্তা চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন শশীকুমারকে। সম্প্রতি সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই বিবাহ নামের প্রতিষ্ঠান এবং পারিবারিক হিংসার প্রেক্ষিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বৈদ্যনাথন।

advertisement

বিচারপতি বৈদ্যনাথন নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে বলেছেন যে বিবাহ আদতে একটি সংস্কার। কিন্তু এই কথা এখন আর বলা চলে না। কেন না, ২০০৫ সালের পারিবারিক হিংসা আইন লিভ-ইন রিলেশনশিপের ক্ষেত্রেও ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার করেছে। এই দিক থেকেই শশীকুমারের উদাহরণ তুলে ধরে বিচারপতি বৈদ্যনাথন সাফ জানিয়েছেন যে মামলাটি নিয়ে শশীকুমারকে অহেতুক হেনস্তা করা হচ্ছে, দেশের আইনের কেবল সুযোগ তুলছেন স্ত্রী!

advertisement

বিচারপতি বৈদ্যনাথনের মতে একথা জোর দিয়ে বলার কারণও রয়েছে। কেন না, তাঁদের মামলাটি পারিবারিক আদালতে ওঠে ২০১৫ সালে, ২০২০ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করা হয় আদালতের তরফে। কিন্তু এই ঘোষণার মাত্র দিনচারের আগে স্ত্রী এই পারিবারিক হিংসার অভিযোগ এনেছেন। সে কারণেই বিচারপতি বৈদ্যনাথন মনে করেন যে কেবল প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই স্ত্রী আইন ব্যবহার করছেন। এই কারণে তিনি চেন্নাইয়ের অ্যানিমাল হাজব্যান্ড্রি অ্যান্ড ভেটেরিনারি সার্ভিসের অধিকর্তাকেও হুকুম দিয়েছেন যে ১৫ দিনের মধ্যে শশীকুমারকে আবার কাজে নিয়োগ করতে হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

সব শেষে বিচারপতি বৈদ্যনাথন একটাই কথা মনে করিয়ে দিতে চান- অহংবোধ জুতোর মতো, স্বামী-স্ত্রী দু'জনেরই সেটা খুলে ঘরে প্রবেশ করা কাম্য!

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
দুর্ভাগ্য, ভারতীয় পুরুষদের সমর্থনে পারিবারিক হিংসা আইন নেই! মন্তব্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল