স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তাকে উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করা হয়েছে৷ সেই সূত্র অনুযায়ী, ২৮ মার্চ রাত দুটো নাগাদ দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজে পৌঁছন দোভাল৷ এর পর তিনিই মসজিদের প্রধান মৌলানাকে বোঝান যে ধর্মীয় সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে কোয়ারেন্টাইন করা প্রয়োজন৷
৯ জন করোনা আক্রান্ত ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ওই মসজিদের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন৷ তাঁদের চিহ্নিত করে ফেলেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি৷ সেই সূত্রেই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন অমিত শাহ এবং অজিত দোভাল৷ যেহেতু দোভালের সঙ্গে মুসলিম ধর্মগুরুদের সম্পর্ক ভাল, তাই মসজিদ খালি করার জন্য তাঁকেই দায়িত্ব দেন শাহ৷ তাঁর হস্তক্ষেপের পরেই গোটা মসজিদ খালি করার বিষয়ে রাজি হয় কর্তৃপক্ষ৷
advertisement
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লির ওই মসজিদে প্রায় দেড় থেকে দু' হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে বহু বিদেশিও ছিলেন৷ সমাবেশে হাজির অনেকের শরীরেই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে৷ এঁদের মধ্যে বহু মানুষই যাঁর যাঁর রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন৷ তাঁদের এখন চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি৷
কেন্দ্রের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ওই সমাবেশে অন্তত ২১৬ জন বিদেশি নাগরিক হাজির ছিলেন৷ তাঁরা অধিকাংশই ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের বাসিন্দা৷ অভিযোগ, এঁদের অধিকাংশ ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে এ দেশে ঢুকে পড়ে ধর্মীয় প্রচার করছিলেন৷ এঁদের খুঁজে বের করে কড়া আইনি পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র৷ ভবিষ্যতে তাঁদের আর এ দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না৷