এবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পার্থর অপরাধ স্বীকার করে ছেলেকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়কে আবেদন করেছেন পার্থ মণ্ডলের বাবা বীরেন মণ্ডল।
তাঁর দাবি, পার্থ মানসিকভাবে অসুস্থ, সে চিকিৎসাধীন। তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। বীরেনবাবুর বক্তব্য, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী... আমি পার্থর বাবা..আমার ছেলে যে জঘন্য অপরাধ করেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য.. তবু তার জন্য একটা সুযোগ চাইছি.. পার্থ একজন মানসিক রোগী...দীর্ঘ ১৮ বছর ও চিকিৎসাধীন..আমি সামান্য বেতনে কাজ করে অসুস্থ স্ত্রী ও ছেলের ট্রিটমেন্ট করে আসছি.. আপনার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ পার্থকে সুস্থ সমাজে ফিরে আসার সুযোগ করে দিন... যদি পারেন পার্থকে ক্ষমা করে দেবেন.. ও ছাড়া আমার আর কেউ নেই.. আমার প্রণাম নেবেন ৷’
advertisement
কিন্তু, পার্থকে ক্ষমা করতে নারাজ রাষ্ট্রপতি কন্যা। ফেসবুকে তিনি পাল্টা লিখেছেন, পার্থ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করুক। আদালতই ঠিক করবে সে সত্যিই অসুস্থ না সেয়ানা পাগল। শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়কে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কটুক্তি করে পার্থ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি।
রাষ্ট্রপতি কন্যা এদিন ফেসবুকেই পার্থর বাবার পোস্টের উত্তর দেন ৷ লেখেন, ‘পার্থ মণ্ডলের বাবা আমাকে ফেসবুকে দাবি করেছেন তাঁর ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছে.....অবশ্য ফেসবুকে প্রচুর ফেক আইডি আছে। এই ঘটনায় আমি পার্থর বাবাকে বলেছি, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করুক সে। আদালত ঠিক করবে সে সত্যিই অসুস্থ না সেয়ানা পাগল।’
গত শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে পার্থ মণ্ডলের অশালীন মেসেজ প্রকাশ্যে আনেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা। উত্তাল হয়ে ওঠে সোস্যাল মিডিয়া ৷ বিভিন্ন মহলের মানুষ সমর্থন জানায় শর্মিষ্ঠাকে ৷ ঘটনাটি পুলিশের নজরে এলে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ ৷ পার্থর আই পি অ্যাড্রেস চিহ্নিত করে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডি-অ্যাকটিভেট করে দেয় পুলিশ ৷