শুধু তাই নয়, দীপের পাসপোর্ট জমা রাখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁকে তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই এই অভিনেতা কৃষক আন্দোলনে নিজের সমর্থন করার কথা জানিয়ে আসছিলেন। তাঁকে গ্রেফতারের পর পুলিশের তরফে জানানো হয়, ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় কিছু মানুষ পতাকা টাঙিয়েছিল। তাঁদের মধ্য়ে কিছু জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, আর দীপ সিধুই প্রধান অভিযুক্ত।
advertisement
২৬ জানুয়ারি দিল্লির লালকেল্লার 'হামলায়' অভিযুক্ত ও মদতদাতা হিসেবে FIR দায়ের হলেও বেশ কয়েকদিন তাঁর খোঁজ পাননি তদন্তকারীরা। প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর মিছিলের দিন বিক্ষোভকারীদের একাংশ লালকেল্লায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেখানে ভাঙচুরের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী সৌধে পতাকাও ওড়ানো হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল দীপ সিধু। তাঁর বিরুদ্ধেই কৃষকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সিধুর পিছনে একপ্রকার হত্য়ে দিয়ে পড়েছিল পুলিশ। পলাতক দীপ সিধুর অবস্থান বা গতিবিধি জানাতে পারলে নগদ এক লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ।
গত ২৬ জানুয়ারি CCTV ফুটেজে লালকেল্লায় নিশান সাহিবের-ধর্মীয় পতাকা পতাকা লাগাতে দেখা গিয়েছিল দীপ সিধুকে। শুধু তিনি নন, ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় ধর্মীয় নিশান টাঙিয়ে দেওয়ায় ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন। তাদের খোঁজ পেতেও নগদ পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ। দীপ সিধু ছাড়াও বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন জগবীর সিং, বুটা সিং, সুখদেব সিং এবং ইকবাল সিংরা। তাঁদের মধ্যে প্রধান মুখ ছিলেন দীপ সিধু। তবে, দীপ সিধুকে 'বিজেপির এজেন্ট' বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন অনেক কৃষক নেতাই। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কৃষকদের আন্দোলকে আক্রমণাত্মক করে দেখাতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এমন হামলার প্ল্যান করেছিল দীপ ও সঙ্গীসাথীরা। শেষমেশ এদিন জামিনও পেয়ে গেলেন দীপ সিধু।