দলের সাংসদদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানান, সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই সবাইকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ঝাঁপাতে হবে। নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে স্পষ্ট জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে হবে। কোনওরকম জোর জবরদস্তি করা যাবে না। দিল্লি আসার আগে কলকাতাতেও একই কথা বলেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার 'দিল্লি চলো' ডাক... এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজধানীতে ধরনা তৃণমূলের
পঞ্চায়েতে কেউ অশান্তি তৈরির চেষ্টা করলে, তাঁদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সম্প্রতি চোপড়ায় পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই ঘিরে অশান্তির ঘটনা ঘটে, তাতে মৃত্যু হয় দু'জনের৷ শাসক শিবিরের এই দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিরোধীরা৷ যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, প্রার্থী ঠিক করবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "পঞ্চায়েতের টিকিট কে পাবেন, তা দলই ঠিক করবে। নিচু তলায় আলোচনা হতে পারে৷ কারও নাম পাঠাতেই পারে। সেটা পর্যালোচনা করে, যাচাই করে দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রার্থী কে হবেন।" তিনি আগেও বলেছিলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে। কেউ অশান্তি করলে ফল ভাল হবে না। দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈষম্যকে দূর করতে হবে। ২০২১-এর ভোটে হেরে যাওয়ার পরে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ‘একটা কোটা হচ্ছে, যাঁরা কনস্টেবল হবে’, সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি নিয়ে বিশাল বার্তা মমতার
সব ঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট হবে বঙ্গে। সেখানে অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদি বাংলায় সভা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছিলেন, '৪০ কেন ৫০০ সভা করুক, কিছু যায় আসে না। এর আগেও তো মিটিং করা হয়েছে।'
অভিষেকের তোপ, ভোট এলেই বাংলার কথা মনে পড়ে কারও কারও। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল, জানিয়েছেন অভিষেক।পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কোনওভাবেই দাদাগিরি বরদাস্ত করা হবে না, বিশেষ নির্দেশ তাঁর। দলীয় নেতৃত্বকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন আগেই।