তামিলনাডুর মাদুরাইয়ের পানামুপ্পানপট্টি (Panamooppanpatty) গ্রামের দীনদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান থাঙ্গাপাচি। সম্প্রতি আর্থিক প্রতিকূলতায় ছেদ পড়েছে তাঁর ডাক্তার হওয়ার বাসনায়। শেষ পর্যন্ত নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করতে তামিলনাডু সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন থাঙ্গাপাচি। ইতিমধ্যেই তামিলনাডুর নিট (NEET) পরীক্ষায় ভালো ভাবে সফল হয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রবল অর্থকষ্টের জন্য তাঁর পড়াশোনা মাঝপথে থমকে যাওয়ার জোগাড়।
advertisement
জানা গিয়েছে, হস্টেলে পড়াশোনার খরচ বহন করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত থাঙ্গাপাচিকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে হয়েছে চাষের কাজের জন্য। স্থানীয় পানামুপ্পানপট্টি গ্রামের গরিব কৃষক পরিবারের কন্যা থাঙ্গাপাচি। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তাই দায়দায়িত্বের পাশাপাশি বাকি ভাইবোনেদের কাছে আদর্শ তিনি। ঠিক দু' বছর আগে ২০২০ সালে স্থানীয় বিক্রমঙ্গলম কালার হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ২০২১ এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষে নিট পরীক্ষায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন থাঙ্গাপাচি। ২০২১ সালে সফল হয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু বেসরকারি কলেজ বলে কথা। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি থাকা, খাওয়ার খরচ বেশি হওয়ায় সেবার ভর্তিই হতে পারেননি তিনি। কিন্তু হাল ছাড়েননি থাঙ্গাপাচি।
আরও পড়ুন: এ বছরই দেশে চালু ডিজিটাল মুদ্রা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর, জানুন বিস্তারিত...
২০২২ শিক্ষাবর্ষে ফের একবার নিট পরীক্ষায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে তামিলনাডুর কন্যাকুমারীর মুকাম্বিকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী তিনি। কিন্তু সরকারি কলেজ হলেও খরচ কোনও অংশে কম নয়।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি পোস্ট অফিসেই এবার পাবেন 'এই' সুবিধা! বিরাট ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
এ বিষয়ে থাঙ্গাপাচির সাফ কথা, "সরকার শুধু আমার টিউশন ফি দিচ্ছে, থাকা-খাওয়ার ও অন্যান্য খরচের জন্য আমার কাছে কোনও টাকা নেই। তাই পড়াশোনার খরচ জোগাতে আমাকে গ্রামে গিয়ে চাষের কাজ করতে হচ্ছে।" এ হেন পরিস্থিতে বাধ্য হয়েই সম্প্রতি তামিলনাডু সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এ ভাবে আর কতদিন? শেষ পর্যন্ত থাঙ্গাপাচি কী তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন!